"পথে নামবো না", শপথ ভুলে বনধ রুখতে বিপুল বিক্রমে পথে তৃণমূল
বনধ ভাঙতে পথে নামবে না তৃণমূল। ঠিক দুদিন আগে এটাই ছিল তৃণমূলের ঘোষিত অবস্থান। কিন্তু ৪৮ ঘণ্টা না কাটতেই একেবারে ইউ টার্ন। বনধ রুখতে বিপুল বিক্রমে পথে তৃণমূল। বেপরোয়া দাদাগিরিতে রক্তাক্ত বনধ সমর্থকরা।
সোমবার বিকেলে ঠিক এভাবেই নিজেদের অবস্থান মেলে ধরেছিলেন রাজ্যের সিনিয়রমোস্ট মন্ত্রী। কিন্তু বনধের বুধবার ঠিক উল্টো ছবিই ধরা পড়ল জেলায় জেলায়।
মহম্মদবাজার
সিপিএমের মিছিলে দফায় দফায় হামলা। হাইকমান্ডের নির্দেশ উড়িয়ে রীতিমতো পতাকা হাতেই হামলা চালায় তৃণমূল সমর্থকরা। শুরু বাসস্ট্যান্ড এলাকায়। পরে স্থানীয় সিপিএম অফিসের সামনেও চড়াও হয় তৃণমূল সমর্থকরা। স্থানীয় সিপিএম বিধায়ক ধীরেন বাগদিসহ জখম পাঁচ।
ঝাড়গ্রাম
ঝাড়গ্রামে বন্ধ দোকানপাটই টার্গেট। আরও বেপরোয়া পতাকাধারী তৃণমূলীরা। মিছিলের নামেও লাঠি হাতে তৃণমূল কর্মীদের দাপট।
আসানসোল
বন্ধ কারখানার গেটে চড়াও তৃণমূল বাহিনী। লাল ঝান্ডা ছুঁড়ে ফেলে পতাকা হাতেই বেপরোয়া ঘাসফুল ব্রিগেড
এদিন হাইকমান্ডের ঘোষণা থাকল ঘোষণাতেই। রাজ্যজুড়েই দাপিয়ে বেড়ায় তৃণমূল। বেপরোয়া তৃণমূলী দাপটে জেলায় জেলায় রক্তাক্ত বাম কর্মীরা। ধর্মঘটীদের সঙ্গে সম্মুখ সমরে না নামার আগাম ঘোষণা সত্ত্বেও শেষপর্যন্ত কেন এই তত্পরতা? ধর্মঘটে বিপুল সাড়ায় কোণঠাসা হয়েই কি এমন বেপরোয়া তৃণমূলী আগ্রাসন, উঠছে প্রশ্ন।