অনাহারের জ্বালায় স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন চা শ্রমিকদের
সরকারের দাবি, রাজ্যে উন্নয়নের চাকা চলছে গড়গড়িয়ে। ঢেকলাপাড়া চা বাগান কিন্তু রাজ্য সরকারকে অস্বস্তিতে ফেলে দিল। অনটন সহ্য করতে না পেরে এখানকার ১৫ জন শ্রমিক মুখ্যমন্ত্রীর কাছে স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন জানালেন। মৌখিক নয়, লিখিতভাবে।
সরকারের দাবি, রাজ্যে উন্নয়নের চাকা চলছে গড়গড়িয়ে। ঢেকলাপাড়া চা বাগান কিন্তু রাজ্য সরকারকে অস্বস্তিতে ফেলে দিল। অনটন সহ্য করতে না পেরে এখানকার ১৫ জন শ্রমিক মুখ্যমন্ত্রীর কাছে স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন জানালেন। মৌখিক নয়, লিখিতভাবে।
উনুনে হাঁড়ি চড়ে না বেশিরভাগ দিন। অর্ধাহারে, অনাহারে দিন কাটাতে বাধ্য হচ্ছেন ডুয়ার্সের ঢেকলাপাড়া চা বাগানের শ্রমিকরা। অপুষ্টির শিকার মানুষগুলি নানা রোগ-ব্যাধিতে আক্রান্ত। হতাশা এতটাই গ্রাস করেছে যে জীবন থেকেই এখন মুক্তি চাইছেন ওঁরা। স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি পাঠিয়েছেন ঢেকলাপাড়া চা বাগানের ১৫ জন শ্রমিক।
চা-বাগান যখন বন্ধ হয়, তখন তাতে শ্রমিক সংখ্যা ছিল ৬০৪। চরম দারিদ্র ইতিমধ্যেই অনেককে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে। গত তিন মাসে ন`জনের মৃত্যু হয়েছে এখানে। কিন্তু প্রশাসন, সরকার-তাঁদের ভূমিকা কী? দুর্ভোগের শিকার মানুষগুলির জন্য কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে?
কীভাবে দিন কাটছে ওই দরিদ্র পরিবারের কনিষ্ঠদের? বনজঙ্গল থেকে কুড়িয়ে আনা কচুর গোড়া পুড়িয়ে খেয়ে দিন গুজরান হয় শ্রমিক পরিবারগুলির। আয় বলতে চা গাছের পাতা বিক্রি এবং কখনও নদীর ধারে পাথর ভাঙা। তাতেও খুব বেশি হলে ৩০ থেকে ৪০ টাকা আয় হয়। জীবনের সঙ্গে প্রতিমুহুর্তে লড়াই করে ক্লান্ত মানুষগুলি। ক্ষুব্ধ সরকারি উদাসীনতায়। মৃত্যুতেই তাই শেষ আশ্রয় খুঁজছেন ওঁরা।