বর্ধমানে ক্ষেতমজুরদের সভায় সূর্যকান্ত
ফসলের ন্যায্য মূল্য, আর ক্ষেতমজুরদের মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে মুখ্যমন্ত্রীকে এক হাত নিলেন বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র। বর্ধমানে জামালপুরে ক্ষেতমজুরদের সভায় তাঁর অভিযোগ, বিরোধী দলনেত্রী থাকাকালীন কৃষকদের কথা বললেও মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরে কৃষকদের ভুলে গেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ফসলের ন্যায্য মূল্য, আর ক্ষেতমজুরদের মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে মুখ্যমন্ত্রীকে এক হাত নিলেন বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র। বর্ধমানে জামালপুরে ক্ষেতমজুরদের সভায় তাঁর অভিযোগ, বিরোধী দলনেত্রী থাকাকালীন কৃষকদের কথা বললেও মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরে কৃষকদের ভুলে গেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি কটাক্ষ করেন, সিদ্ধার্থ শংকর রায় সরকারের যে অবস্থা হয়েছিল, পাঁচ বছরে সেই অবস্থা হবে বর্তমান তৃণমূল সরকারের।
জেলায় জেলায় কৃষি সঙ্কটের সবচেয়ে বড় শিকার ক্ষেতমজুররা। বহু জায়গাতেই নিতান্ত কম টাকার বিনিময়ে কাজ করতে হচ্ছে তাঁদের। আর তা নিয়েই আন্দোলনে নামেন বর্ধমানের জামালপুরের ক্ষেতমজুর রাধাকান্ত সোরেন। তিনি খুন হন গত ২২জুলাই। ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে সিপিআইএম নেতৃত্ব। শুক্রবার রাধাকান্ত সোরেনের বাড়িতে গিয়ে তাঁর স্ত্রী-পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র। এরপর ক্ষেতমজুরদের নিয়ে সভায় তৃণমূলের সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেন বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, "সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খুললেই যদি খুন হতে হয়, তাহলে সিদ্ধার্থ শংকর রায়ের ভবিষ্যত হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারেরও"।
কৃষকের দাবি দাওয়া নিয়েও সরকারের তীব্র সমালোচনা করেন সূর্যকান্ত বাবু। কটাক্ষের সুরে বলেন, "শহরে জিনিসের দাম বাড়লে মুখ্যমন্ত্রী বাজারে ছুটে যান। কিন্তু গ্রামের কৃষক ফসলের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন না, ক্ষেতমজুর মজুরি পাচ্ছেন না, তা নিয়ে বিন্দুমাত্র মাথা ব্যথা নেই সরকারের"। সভামঞ্চ থেকে সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিটি ইস্যুতে আক্রমণাত্মক বিরোধী দলনেতার মন্তব্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের আমলে জিনিসের দাম বাড়লেও, কমেছে কৃষকের মজুরি, মানুষের জীবনের দাম এবং নারীদের নিরাপত্তা।