গোর্খাল্যান্ড ইস্যুতে শান্তিস্থাপনই লক্ষ্য বিজেপি প্রার্থী সুরিন্দর সিং আহলুওয়ালিয়ার
পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবি অসাংবিধানিক নয়। কিন্তু তার জন্য যে টানাপোড়েন তৈরি হয়েছে, তা কখনওই কাম্য নয়। মধ্যপন্থা বার করে শান্তিস্থাপনই এখন লক্ষ্য। বুধবার শিলিগুড়িতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই বার্তা দিলেন বিজেপি প্রার্থী সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া।
পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবি অসাংবিধানিক নয়। কিন্তু তার জন্য যে টানাপোড়েন তৈরি হয়েছে, তা কখনওই কাম্য নয়। মধ্যপন্থা বার করে শান্তিস্থাপনই এখন লক্ষ্য। বুধবার শিলিগুড়িতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই বার্তা দিলেন বিজেপি প্রার্থী সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া।
রাজনৈতিক মহলের মত, মধ্যপন্থার কথা বলে আলুওয়ালিয়া আসলে মোর্চাকে সরাসরি কোনও প্রতিশ্রুতি না দিয়ে পাহাড়ের ভোট নিশ্চিত করতে চাইলেন। বুধবার সন্ধ্যায় তিনি দার্জিলিঙে বৈঠক করেন বিমল গুরুংয়ের সঙ্গে। তবে বৈঠকের ব্যাপারে কেউই কিছু বলতে চাননি। বিজেপি বারবরই ছোট রাজ্যগুলির পক্ষে। গোর্খাল্যান্ডের ক্ষেত্রেও তাদের অবস্থান স্পষ্ট। বুধবার শিলিগুড়িতে সাংবাদিক বৈঠকেও বিজেপি প্রার্থী সুরুন্দর সিং আলুওয়ালিয়া স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, মোর্চার দাবি অসাংবিধানিক নয়।
কিন্তু মধ্যপন্থা বলতে আলুওয়ালিয়া ঠিক কী বোঝাতে চাইছেন, তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। কারণ, বিজেপি গোর্খাল্যান্ডের ঘোষিত সমর্থক। তারা এই দাবিকে ন্যায্য বলেও মনে করে। তা হলে রাজ্য সরকারের সঙ্গে এ প্রসঙ্গে যে টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়েছে, সে ব্যাপারে আলোচনার মাধ্যমে মধ্যপন্থার কথা বলছেন কেন আলুওয়ালিয়া? রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আসলে মোর্চাকে সমর্থন করলেও এখনই প্রতিশ্রুতি দেওয়ার রাস্তায় হাঁটতে চাইছে না বিজেপি। পাহাড়ের ভোট নিশ্চিত করাই এই মুহূর্তে বিজেপির লক্ষ্য। কিন্তু এখন ভোটের মুখে সোজাসাপ্টা গোর্খাল্যান্ডের দাবিকে সমর্থন করলে সমতলের মানুষের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে। কিন্তু মধ্যপন্থার বার্তা দিয়ে আলুওয়ালিয়া একদিকে যেমন মোর্চার মধ্যে আশা জিইয়ে রাখলেন, তেমনই চটাতে চাইলেন না সমতলকেও। ব্যুরো রিপোর্ট ২৪ ঘণ্টা।