অশনি সংকেত: সুন্দবনের ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদ হারিয়ে ফেলছে কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ ক্ষমতা
সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ অরণ্য দ্রুত কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণের ক্ষমতা হারাচ্ছে। জলে লবণের আধিক্য বৃদ্ধি, যথেচ্ছহারে অরণ্যধ্বংস, এবং দূষণের ফলে ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদ গুলির বায়ুমণ্ডল থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ ক্ষমতা কমে যাচ্ছে। প্রসঙ্গত, গ্রিন হাউস গ্যাস গুলির মধ্যে অন্যতম এই কার্বন ডাই অক্সাইড।
কলকাতা: সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ অরণ্য দ্রুত কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণের ক্ষমতা হারাচ্ছে। জলে লবণের আধিক্য বৃদ্ধি, যথেচ্ছহারে অরণ্যধ্বংস, এবং দূষণের ফলে ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদ গুলির বায়ুমণ্ডল থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ ক্ষমতা কমে যাচ্ছে। প্রসঙ্গত, গ্রিন হাউস গ্যাস গুলির মধ্যে অন্যতম এই কার্বন ডাই অক্সাইড।
পৃথিবীর বৃহত্তম ব-দ্বীপ সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ অরণ্য, ফাইটোপ্ল্যাঙ্কটন, শম্বুক জাতীয় প্রাণীর খোল, এবং উপকূলবর্তী অঞ্চলের গাছপালা প্রাকৃতিকভাবেই বিপুল পরিমাণে কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করে।
এই উদ্ভিদ গুলির মধ্যে যে কার্বন জমা থাকে তাকে ''ব্লু কার্বন'' বলে। উদ্ভিদের কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণের মাধ্যমে পৃথিবীয় উষ্ণায়ন হ্রাস পায়। জলবায়ু পরিবর্তনের উপর বিভিন্ন ধরণের খারাপ প্রভাব প্রতিহত হয়।
কেন্দ্রীয় সরকারের অনুদানপ্রাপ্ত "Blue Carbon Estimation in Coastal Zone of Eastern India - Sunderbans" নামের একটি গবেষণায় উঠে এসেছে এই তথ্য।
এই গবেষণার সঙ্গে যুক্ত বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন মধ্য সুন্দরবনের অবস্থতা সর্বাধিক শোচনীয়। সেখানকার ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদগুলির কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ ক্ষমতা ব্যপক হারে হ্রাস পাচ্ছে। সমগ্র অঞ্চলের বাস্তুতন্ত্রে এই ঘটনা অতন্ত্য খারাপ প্রভাব ফেলছে। এই ঘটনাকে বিজ্ঞানীরা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক আখ্যা দিয়েছেন।