সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভে বৌদ্ধবিহারের হদিশ

জল আর জঙ্গলের নিবিড়তায় মিলল বৌদ্ধবিহারের হদিশ। রায়দিঘির কঙ্কনদিঘিতে পুরাতাত্ত্বিক খননে মিলল ষষ্ঠ ও সপ্তম শতকের বৌদ্ধ বিহারের নিদর্শন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগের সহযোগিতায় শুরু হয়েছে খনন।

Updated By: May 23, 2015, 10:11 AM IST
সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভে বৌদ্ধবিহারের হদিশ

ওয়েব ডেস্ক: জল আর জঙ্গলের নিবিড়তায় মিলল বৌদ্ধবিহারের হদিশ। রায়দিঘির কঙ্কনদিঘিতে পুরাতাত্ত্বিক খননে মিলল ষষ্ঠ ও সপ্তম শতকের বৌদ্ধ বিহারের নিদর্শন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগের সহযোগিতায় শুরু হয়েছে খনন।
 
এখানে জলে কুমির, ডাঙায় বাঘ। আর মাটির নিচে? তার খবর বোধহয় আমরা কেউই রাখি না। আসলে জল-জঙ্গলের গা-ছমছমানিতেই আচ্ছন্ন থাকি আমরা। সেই আচ্ছন্নতার মধ্যেও আশ্চর্যের অপরূপ খনি। সেই জল, জঙ্গল ভেদ করে সুন্দরবনের মাটির নিচে পৌছতেই পুরাতনী পসরা। রায়দিঘি থেকে সাড়ে তিন কিলোমিটার দূরে কঙ্কনদিঘির আদিবাসী অধ্যুষিত মাঝিপাড়ার মঠবাড়িতে শুরু হয়েছে খননকাজ। তত্ত্বাবধানে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগের অধ্যাপিকা দুর্গা বসু। খননে সাহায্য করছে ভারতীয় প্রত্নতত্ত্ব সর্বেক্ষণ ও রাজ্য প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ। গতবছর ঢিবিরবাড়িতে খননে মিলেছিল ষষ্ঠ ও সপ্তম শতকের বৌদ্বদের ধনদেবতা জম্ভলের পোড়া মূর্তি সহ গণমূর্তি, শামুকের চিহ্নযুক্ত ইট, পোড়া মাটির প্রদীপ, লোহার টুকরো, পাথরের নকশা ও পাথরে পায়ের ছাপ। এবারের খননে মিলেছে শামুকের খোল, নানান আকৃতির ইট, লোহার টুকরো, হাড়ের টুকরো, প্রচুর পোড়া কাঠ, একাধিক ধূসর ও কালো রঙের মাটির পাত্র ও খ্রিষ্টজন্মের কয়েকশো বছরের পুরনো লাল-কালো রঙের মাটির পাত্র। এ ছাড়া ষষ্ঠ-সপ্তম ও অষ্টম-নবম শতকের ইটের তৈরি বিশাল মেঝে।

এই নিদর্শন দেখে মনে হয়, সেই সময় এখানে মানুষের বসবাস ছিল।গবেষকরা এলাকায় বৌদ্ধ বিহারের অবস্থান নিয়ে খুব আশাবাদী। গহিন অরণ্যই শুধু নয়। ম্যানগ্রোভও শুধু নয়। ডোরাকাটার নিভৃত বাসভূমি শুধু নয়। পুরাতাত্ত্বিক দিক দিয়েও সুন্দরবনের পরিচিতি ও গুরুত্ব  ক্রমশই বাড়ছে।

.