চোখের জলে প্রিয় নেতাকে বিদায় জানাল পাহাড়
প্রয়াত জিএনএলএফ নেতা সুবাস ঘিসিংয়ের মরদেহ আজ আনা হল দার্জিলিংয়ে। তাঁকে শেষ শ্রদ্ধাজানাতে বাগডোগরা বিমানবন্দরেই নামে মানুষের ঢল। চোখের জলে প্রিয় নেতাকে বিদায় জানাল পাহাড়।
দার্জিলিং: প্রয়াত জিএনএলএফ নেতা সুবাস ঘিসিংয়ের মরদেহ আজ আনা হল দার্জিলিংয়ে। তাঁকে শেষ শ্রদ্ধাজানাতে বাগডোগরা বিমানবন্দরেই নামে মানুষের ঢল। চোখের জলে প্রিয় নেতাকে বিদায় জানাল পাহাড়।
সাধারণ মানুষের শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের জন্য জাহাঙ্গির রোডের বাড়িতে শায়িত থাকবে সুবাস ঘিসিংয়ের দেহ। রবিবার তাঁর শেষকৃত্য। বৃহস্পতিবার ফুসফুসের সংক্রমণে দিল্লির এক হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর।
১৯৮০ সালে তার হাত ধরেই তৈরি হয় গোর্খা ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট বা জিএনএলএফ। গোর্খাদের পৃথক রাজ্যের দাবিতে ক্রমশই জোরালো হয় আন্দোলন। শুরু হয় জঙ্গি আন্দোলন। উত্তপ্ত হয় পাহাড়। পাহাড় আন্দোলনে প্রাণ যায় অন্তত বারোশ জনের। ১৯৮৮ সালে পাহাড়ে স্বায়ত্ব শাসনের শর্তে বাম সরকারের সঙ্গে কেন্দ্রের মধ্যস্থতায় তৈরি হয় দার্জিলিং গোর্খা হিল কাউন্সিল। স্তিমিত হয় আন্দোলন। হিল কাউন্সিলের চেয়ারম্যান হন সুবাস ঘিসিং।
টানা কুড়ি বছর হিল কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ছিলেন সুবাস ঘিসিং। হয়ে ওঠেন পাহাড়ের একচ্ছত্র নেতা। কিন্তু সময়ের সঙ্গে ভাঙন ধরে জিএনএলএফে। জিএনএলএফ ভেঙে তৈরি হয় গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। পাহাড়ে নতুন নেতা হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেন বিমল গুরুং। দুহাজার এগারোর বিধানসভা নির্বাচনে পাহাড়ে নিজের ক্ষমতা ফিরে পেতে ফের ময়দানে নামেন সুবাস। দার্জিলিংয়ের তিন কেন্দ্রে প্রার্থী দেয় ঘিসিংয়ের দল। সবকটিতেই শোচনীয় পরাজয় হয় পাহাড়ি বাঘের। ২০১১ সালের ১৬ মে ফের পাহাড় ছাড়তে বাধ্য হন সুবাস ঘিসিং। কিন্তু পাহাড়ে আর সিংহ বিক্রমে ফিরতে পারেননি । পাহাড়ের পুরনো মেজাজে ফেরার স্বপ্ন থেকে গেল অধরাই। শেষ হল পাহাড় আন্দোলনের এক অধ্যায়।