"যা সৌরভকে মানায়, তা সবাইকে মানায় না", অধীরকে মমতা
বনধে পথে নেমে পুলিসকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। 'স্যান্ডো ম্যান' অধীর পুলিসকে বললেন "চালা গুলি..."। ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর কটাক্ষ, "যা সৌরভকে মানায়, তা সবাইকে মানায় না"।
বহরমপুর:বনধে পথে নেমে পুলিসকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। 'স্যান্ডো ম্যান' অধীর পুলিসকে বললেন "চালা গুলি..."। ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর কটাক্ষ, "যা সৌরভকে মানায়, তা সবাইকে মানায় না"।
বনধে জামা খুলে সাদা স্যান্ডো গেঞ্জিতে রাজ্য কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর 'দাদাগিরি'কে 'সবাই কে সব কিছু মানায় না বলে' কটাক্ষ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন এক সরকারি কর্মসূচিতে বক্তৃতায় বনধ প্রসঙ্গে অধীর চৌধুরীকে একহাত নিয়ে বলেন,"ছবি তোলার জন্যই এই কাজ করেছেন। ছবি তুলতে গিয়ে নিজেই ছবি হয়ে যাবেন"।
সবংয়ের কলেজে ছাত্র খুনের পরই সারা রাজ্য জুড়ে বনধের ডাক দিয়েছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। আজ সকাল থেকেই বনধকে কার্যকর করতে রাস্তায় নামেন বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ। সরকারি গাড়ি ভাঙচুর থেকে রাস্তা ঘাটে 'দাদাগিরি,' বহরমপুর দাপিয়ে বেড়ালেন 'বড়দা'। পুলিসের সঙ্গে বচসায় জামা খুলে প্রতিবাদ জানান তিনি। পুলিসের বিরুদ্ধে অধীর বলেন, "চালা গুলি..."।
এদিন, সরকারি কর্মসূচি থেকে অধীরের এই রণংদেহী রূপকেই কটাক্ষ করলেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। লর্ডসে ন্যাটওয়েস্ট ট্রফি জেতার পর হাতের কাছে কোনও পতাকা না পেয়ে নিজের জার্সি খুলে উড়িয়ে ছিলেন তত্কালীন ভারত অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলি। সেই প্রসঙ্গ টেনেই নাম না করে অধীর চৌধুরীকে কটাক্ষ করলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি আরও বলেন, "শত শত আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস বাংলায় ক্ষমতায় এসেছে। এমনও হয়েছে, আমাদের দলের কর্মীরা বেধড়ক মার খাওয়ার পরও একটা এফআইআরও আমরা করতে পারিনি"।