আমলাদের ক্ষমতা ছেঁটে এসএসসি প্রশ্নপত্রের দায়িত্ব চেয়ারম্যানদের

এসএসসির প্রশ্নপত্র বিভ্রাটের জেরে ব্যবস্থাই বদলে ফেলছে কর্তৃপক্ষ। পরীক্ষার জন্য আর ট্রেজারিতে প্রশ্নপত্র পাঠাতে নারাজ স্কুল সার্ভিস কমিশন। আগামী ২ সেপ্টেম্বর স্কুল সার্ভিস কমিশনের যে ৫টি কেন্দ্রে আবার পরীক্ষা হবে সেখানে একটি বাদে প্রত্যেকটিতেই কমিশনের আঞ্চলিক প্রধানরা সরাসরি প্রশ্নপত্র পৌঁছে দেবেন।

Updated By: Aug 9, 2012, 11:30 AM IST

এসএসসির প্রশ্নপত্র বিভ্রাটের জেরে ব্যবস্থাই বদলে ফেলছে কর্তৃপক্ষ। পরীক্ষার জন্য আর ট্রেজারিতে প্রশ্নপত্র পাঠাতে নারাজ স্কুল সার্ভিস কমিশন। আগামী ২ সেপ্টেম্বর স্কুল সার্ভিস কমিশনের যে ৫টি কেন্দ্রে আবার পরীক্ষা হবে সেখানে একটি বাদে প্রত্যেকটিতেই কমিশনের আঞ্চলিক প্রধানরা সরাসরি প্রশ্নপত্র পৌঁছে দেবেন। আগের বারের মতো এবার আর প্রশ্নপত্র পাঠানোর ক্ষেত্রে এসডিও, বিডিও বা ডিএমদের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে না।
২৯ জুলাইয়ের স্কুল সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষায় বিভ্রাটের পর থেকেই কমিশনের চেয়ারম্যান অসহযোগিতার বা অন্তর্ঘাতের অভিযোগ তুলেছেন। কখনও অভিযোগ করেছেন তাঁর দফতরেরই একদল আধিকারিকের বিরুদ্ধে। আবার কখনও অভিযোগ করেছেন ট্রেজারি থেকে পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রশ্নপত্র পাঠানোর দায়িত্বে যে ,ডিএম, এসডিও, বিডিওরা ছিলেন তাঁরা এই বিভ্রাটের জন্য দায়ী। এই পরিস্থিতিতে আগামী ২ সেপ্টেম্বর যে ৫টি কেন্দ্রে কমিশন ফের পরীক্ষা নেবে, সেই কেন্দ্রগুলির কোনওটিতেই প্রশ্নপত্র পাঠানোর দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে না এসডিও, বিডিও বা ডিএমদের। সেক্ষেত্রে স্কুল সার্ভিস কমিশনের বিভিন্ন আঞ্চলিক চেয়ারম্যানরাই সরাসরি প্রশ্ন পৌঁছে দেবেন। এমনকী ৫টি কেন্দ্রের মধ্যে মালদহ বাদে ৪টি`তেই প্রশ্নপত্র ট্রেজারিতেও পাঠানো হচ্ছে না। পরীক্ষার দিনই সকালে চেয়ারম্যানরা সরাসরি প্রশ্ন সংগ্রহ করে তা পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে দেবেন।
মালদহতে দূরত্বের কারণে আগের দিন ট্রেজারিতে প্রশ্ন পাঠানো হবে। কিন্তু সে ক্ষেত্রেও ট্রেজারি শুধুমাত্র কাস্টডিয়ান হিসাবেই কাজ করবে। প্রশ্নপত্র পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে দেবেন আঞ্চলিক চেয়ারম্যানই। কমিশনের চেয়ারম্যান সরকারের কাছে যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিয়েছেন তাতে অন্তর্ঘাতের ইঙ্গিত দিলেও কারও বিরুদ্ধে সরাসরি কোনও অভিযোগই করেননি। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে প্রশাসনিক আধিকারিকদের পুরোপুরি এড়িয়ে গিয়ে নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানদের হাতে দায়িত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্তে জল্পনা মাথাচাড়া দিয়েছে।  কমিশন কি মনে করছে, এসপি, ডিএমদের গাফিলতির কারণেই আগের বার প্রশ্ন বিভ্রাটের ঘটনা ঘটেছে? উঠছে, সে প্রশ্নও।

.