নতুন বছরে তুষারবার্তা নিয়ে এল সান্দাকফু
রাজ্যবাসীকে নতুন বছরের উপহার দিল প্রকৃতি। বছরের প্রথম দিনেই বরফে ঢেকে গেল সান্দাকফু। একই সময়ই বরফের চাদরে ঢেকে গেল দার্জিলিংও। আনন্দের সেই বার্তা ছড়িয়ে পড়ল পাহাড় থেকে সাগর, রাঢ়বাংলা থেকে জঙ্গলমহলে।
রাজ্যবাসীকে নতুন বছরের উপহার দিল প্রকৃতি। বছরের প্রথম দিনেই বরফে ঢেকে গেল সান্দাকফু। কনকনে শীত উপেক্ষা করে কাঞ্চনজঙ্ঘার ওপর মনোময়ী সূর্যাস্ত উপভোগে করলেন পর্যটকরা। দার্জিলিংয়ে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রাও। রাতে তুষারপাতেরও সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। আনন্দের সেই বার্তা ছড়িয়ে পড়ল পাহাড় থেকে সাগর, রাঢ়বাংলা থেকে জঙ্গলমহলে। বর্ষবরণে মাতলেন বঙ্গবাসী। নতুন বছরে রোদে ধুয়ে যাওয়া কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখার আনন্দ মাঠে মারা গেল। তবে তাতে বিন্দুমাত্র দুঃখ শৈলশহরে বেড়াতে আসা পর্যটকদের। সান্দাকফুর বরফ বয়ে এনেছে পাহাড়ে তুষারপাতের বার্তা।
অন্যদিকে ঠিক উলটো ছবি সাগরে। শনিবার থেকেই দীঘায় তিল ধারণের জায়গা নেই। বছরের প্রথম দিনে ভিড় আরও বাড়ল পর্যটকদের। ঝাউবনের বালি খুঁড়ে বসানো হল কাঠের আঁচের উনুন। বছরের প্রথম ভোজটা চড়ুইভাতিতেই সারলেন অনেকে।
একটু ভিন্ন ছবি কোলাঘাটে রূপনারায়ণের পাড়ে। কড়াইয়ের কষা মাংস থেকে গরম মশলার গন্ধে আরও চমমনে করে দিল শরীর। নদীর জলে ঝাঁপাই ঝুড়লেন কেউ কেউ। বছরের প্রথম স্নানটাও বাড়ির বাইরেই। রাজ্যের অন্যত্রও ছিল একই রকম ভিড়।
জঙ্গলমহলের অন্যত্রও চোখে পড়ল ইংরেজি বর্ষকে বরণ করে নেওয়ার ব্যতিক্রমী ছবি। শুশুনিয়া পাহাড়কে পিছনে রেখে শিউলিবোনায় ধামসা-মাদলের তালে নাচলেন আদিবাসীরা।