সেই বারাসাত, সেই ধর্ষণ সঙ্গে শ্লীলতাহানির ঘটনাও
ফের দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্য বারাসতে। রবিবার সন্ধ্যায় এক নাবালিকাকে ধর্ষণ এবং রাতে এক কলেজ ছাত্রীর শ্লীলতাহানির পর প্রশ্নের মুখে উত্তর চব্বিশ পরগনার সদরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এ দুটি ঘটনায় মোট দুজনকে গ্রেফতার করলেও এখনও পলাতক আরও দুজন।
ফের দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্য বারাসতে। রবিবার সন্ধ্যায় এক নাবালিকাকে ধর্ষণ এবং রাতে এক কলেজ ছাত্রীর শ্লীলতাহানির পর প্রশ্নের মুখে উত্তর চব্বিশ পরগনার সদরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এ দুটি ঘটনায় মোট দুজনকে গ্রেফতার করলেও এখনও পলাতক আরও দুজন। তাদের খোঁজে তল্লাসি শুরু হয়েছে। তবে আতঙ্ক কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না বারাসতের বাসিন্দাদের।
মাসির বাড়ি থেকে রবিবার সন্ধ্যায় বাড়িতে ফিরছিল সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। অভিযোগ, সে সময় ১৪ বছরের ওই কিশোরীর মুখে হাত চাপা দিয়ে তুলে নিয়ে যায় স্থানীয় যুবক চিরঞ্জিত ঘোষ। অভিযোগ, বাঁশবনে কিশোরীকে ধর্ষণ করে যুবক। কেউ জানতে পারলে খুন করে ফেলবে বলেও কিশোরীকে হুমকি দেয় সে। কিন্তু বাড়ি ফিরে সব ঘটনাই জানায় ওই কিশোরী। থানায় লিখিত অভিযোগ হওয়ার পর চিরঞ্জিত ঘোষকে গ্রেফতার করে পুলিস।
এই ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বারাসত থানা এলাকাতেই এক কলেজ ছাত্রীর শ্লীলতাহিনর ঘটনা ঘটে। রবিবার রাত আটটা নাগাদ, বারাসতের হরিতলার এক রেস্তোঁরায় পরিবারের লোকজনের সঙ্গে খাওয়া দাওয়া সেরে বেরোচ্ছিলেন স্নাতক স্তরের তৃতীয় বর্ষের এক ছাত্রী। তখনই তাঁর ওপর চড়াও হয় তিন যুবক। প্রথমে ওই ছাত্রীকে উদ্দেশ্য করে কটূক্তি করতে থাকে তারা। প্রতিবাদ করলে তরুণীর হাতে আঘাত করে দুষ্কৃতীরা। তার জামাকাপড় ধরেও টানাটানি করা হয় বলে অভিযোগ। এইসব ঘটনাই ঘটে ছাত্রীর পরিবারের সদস্যদের সামনেই। স্থানীয় বাসিন্দাদের চেষ্টায় দুষ্কৃতীদের একজন ধরা পড়ে যায়। ধৃতের নাম তপন সেন। বাকি দুজন যদিও পালিয়ে যায়।
গত বছর রাজীব দাসের হত্যাকাণ্ড থেকে শুরু করে একের পর এক শ্লীলতাহানি, ধর্ষণ এবং ইভটিজিংয়ের ঘটনা প্রায় নিত্যসঙ্গী বারাসতবাসীর। উত্তর চব্বিশ পরগনার জেলা সদর বারাসত মহিলাদের জন্য আদৌ যে নিরাপদ নয়, রবিবার রাতের এই দুটি ঘটনা আরও একবার স্পষ্ট হয়ে গেল সেকথা। ধর্ষণ এবং শ্লীলতাহানিকাণ্ডর পর আতঙ্কিত স্থানীয় বাসিন্দারা। একদিকে মহিলাদের সামাজিক নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সেইসঙ্গে উঠে আসেছে আইন-শৃঙ্খলার প্রসঙ্গও।