বঙ্গে অঙ্গদানের নয়া ঐতিহ্য
একবিংশ শতকের রেঁনেসা কলকাতাতেই। সংস্কারের শেকল ছিড়ে অঙ্গদানের বৈপ্লবিক সিদ্ধান্ত নিচ্ছে একের পর এক পরিবার। পথনির্দেশ করে গেছেন এক মা। সত্তর বছরের শোভনা সরকার। জীবদ্দশাতেই মরণোত্তর অঙ্গদানের ইচ্ছের কথা জানিয়ে যান ছেলেকে। তাঁর ব্রেন ডেথের পর মায়ের শেষ ইচ্ছা পূরণ করেন ছেলে প্রসেনজিত্। শোভনা সরকারের দুটি কিডনি পান বেলভিউ ক্লিনিক ও SSKM ভর্তি দুই ব্যক্তি।
ওয়েব ডেস্ক: একবিংশ শতকের রেঁনেসা কলকাতাতেই। সংস্কারের শেকল ছিড়ে অঙ্গদানের বৈপ্লবিক সিদ্ধান্ত নিচ্ছে একের পর এক পরিবার। পথনির্দেশ করে গেছেন এক মা। সত্তর বছরের শোভনা সরকার। জীবদ্দশাতেই মরণোত্তর অঙ্গদানের ইচ্ছের কথা জানিয়ে যান ছেলেকে। তাঁর ব্রেন ডেথের পর মায়ের শেষ ইচ্ছা পূরণ করেন ছেলে প্রসেনজিত্। শোভনা সরকারের দুটি কিডনি পান বেলভিউ ক্লিনিক ও SSKM ভর্তি দুই ব্যক্তি।
বসিরহাটের যুবক স্বর্ণেন্দু রায়ের পরিবারও একই পথে হাঁটে। দুর্ঘটনায় মারাত্মক আহত স্বর্ণেন্দুর ব্রেন ডেথের পর অঙ্গদানের সিদ্ধান্ত নেয় তার পরিবার। স্বর্ণেন্দুর কিডনি ও লিভার পেয়েছেন SSKM-এ ভর্তি দুই ব্যক্তি।
আরও পড়ুন-সুরভির অঙ্গদানে নবজন্ম পাঁচ জনের
শোকের মধ্যেও সাহস দেখাল আসানসোলের সুরভির পরিবারও। শোভনা সরকারকে নিয়ে এখনও পর্যন্ত কলকাতায় মোট পাঁচটি অঙ্গদান হয়েছে। মস্তিষ্কের মৃত্যুর পর সাড়হীন শরীরকে বাঁচিয়ে না রেখে, গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলি সমাজকে দিয়ে যাওয়া। যাতে মৃত্যুর সঙ্গে যুঝতে থাকা আর কারও বাঁচার স্বপ্ন বেঁচে থাকে। পথ দেখাচ্ছে বাঙালি।