গ্রামের বাড়িতেই পুজো `প্রেসিডেন্ট পল্টু`র
রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর এই প্রথম গ্রামের বাড়িতে পুজো কাটাতে চলেছেন প্রণব মুখোপাধ্যায়। টানা চারদিনই তিনি থাকবেন সেখানে।
রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর এই প্রথম গ্রামের বাড়িতে পুজো কাটাতে চলেছেন প্রণব মুখোপাধ্যায়। টানা চারদিনই তিনি থাকবেন সেখানে। চণ্ডীপাঠ থেকে শুরু করে পুজোর অন্যান্য উপাচার সবকিছুতেই অংশগ্রহণ করবেন তিনি। রাষ্ট্রপতির বাড়ির পুজো উপলক্ষে সেজে উঠছে বীরভূমের মিরাটি গ্রাম। রাস্তা সারানো থেকে শুরু করে বিদ্যুত সংযোগ দেওয়া সবকিছুই সেরে ফেলা হচ্ছে যুদ্ধকালীন তত্পরতায়।
রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর প্রোটোকোলের হাজারো গেরো সামলে প্রণব মুখার্জি কি পারবেন গ্রামের দুর্গাপুজোয় অংশ নিতে? পুজোর কিছুদিন আগে পর্যন্ত এই প্রশ্নটাই ঘুরপাক খাচ্ছিল মিরাটির মানুষের মনে। কিন্তু সব জল্পনার অবসান ঘটেছে। জানা গেছে এক-দুদিন নয়, পুজোর চারদিনই মিরাটির মুখার্জি ভবনই ঠিকানা হতে চলেছে অধুনা রাইসিনা হিলসের বাসিন্দা প্রণব মুখার্জির। আর তাঁর আসার খবর নিশ্চিত হতেই যেন আলাদা মাত্রা পেয়েছে মুখার্জির বাড়ির পুজো। রংয়ের প্রলেপ পড়েছে গোটা বাড়িতে। রাষ্ট্রপতি বলে কথা। তাই নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কোনও রকম খামতি নেই প্রশাসনের। ইতিমধ্যেই মুখার্জি বাড়ির গেটে বসেছে পুলিসি পাহারা। তবে পুজোর চারদিন গ্রামবাসীদের প্রবেশে কোনওরকম নিষেধাজ্ঞা থাকছে না।
বাবা কামদাকিঙ্কর মুখার্জির মৃত্যুর পর থেকেই গত কুড়ি বছর ধরে পুজোর দায়িত্ব সামলাচ্ছেন প্রণববাবু। নির্বাচনে লড়া থেকে শুরু করে যেকোন বড় কাজের নামার আগে গ্রামের বাড়িতে মন্দিরে প্রণাম করে যান তিনি। দেশের শীর্ষ সাংবিধানিক পদে বসার পর এবার প্রণববাবুর পুজোয় আসাটা তাই আলাদা মাত্রা পেয়েছে। মহাসপ্তমীর দিন হেলিকপ্টারে কীর্ণাহারে নেমে গ্রামের বাড়িতে পৌঁছবেন প্রণব মুখার্জি। পুজোয় আমন্ত্রিত থাকছেন বহু বিশিষ্টজন। তবে এবারের পুজোয় মুখার্জি বাড়িতে প্রবেশ নিষেধ সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের।