বিদ্যুত্ ঘাটতি অব্যাহত
রাজ্যে বিদ্যুত্ বিভ্রাট চলছেই। এখনও পর্যন্ত ঘাটতির পরিমাণ তিনশো মেগাওয়াট। পরিস্থিতি সামলাতে রাজ্য জুড়ে দিনে একবার করে সোয়া এক ঘণ্টা করে লোডশেডিং করানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
রাজ্যে বিদ্যুত্ বিভ্রাট চলছেই। এখনও পর্যন্ত ঘাটতির পরিমাণ তিনশো মেগাওয়াট। পরিস্থিতি সামলাতে রাজ্য জুড়ে দিনে একবার করে সোয়া এক ঘণ্টা করে লোডশেডিং করানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সন্ধে ছ-টা পর্যন্ত রাজ্যের বিদ্যুত চাহিদা ছিল চারহাজার দুশো মেগাওয়াট। সিইএসসি এলাকায় এখনও পর্যন্ত কোনও বিদ্যুত ঘাটতি নেই। বিদ্যুত ঘাটতির হাত থেকে শনিবার সন্ধেবেলাও মুক্তি পেল না রাজ্য। শনিবার সন্ধে ছ-টা পর্যন্ত রাজ্যে বিদ্যুতের চাহিদা ছিল চার হাজার দুশো মেগাওয়াট। যার মধ্যে ন্যাশনাল পাওয়ার গ্রিড থেকে মিলিছে আটশো মেগাওয়াট। সিইএসসি-কে দেওয়া হয়েছে চারশো পঁচিশ মেগাওয়াট। সিইএসসি এলাকায় কোনও বিদ্যুত ঘাটতি নেই। তবে, সার্বিক পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে দিনে একবার সওয়া একঘণ্টা করে লোডশেডিং করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এদিকে বিদ্যুতের মাশুলবৃদ্ধি এবং ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে শনিবার ধর্মতলায় বিক্ষোভ দেখালেন বিদ্যুত গ্রাহক সংগঠন অল বেঙ্গল ইলেকট্রিসিটি কনসিউমার্স অ্যাসোসিয়েশন। তাদের অভিযোগ, পরিকল্পিতভাবে কয়লার সঙ্কট তৈরি করে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হচ্ছে। একই সঙ্গে লোডশেডিং বন্ধ না হলে গ্রাহকদের আর্থিক ক্ষতিপূরণেরও দাবি জানিয়েছে বিদ্যুত গ্রাহক সংগঠনটি। বিদ্যুত কেন্দ্রের জন্য কয়লা তোলা নিয়ে দুর্নীতির সিবিআই তদন্তেরও দাবি জানানো হয়েছে। আগামী ৯ নভেম্বর নিজেদের দাবি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে একটি স্মারকলিপি দেবে অল বেঙ্গল ইলেকট্রিসিটি কনসিউমার্স অ্যাসোসিয়েশন। লোডশেডিংয়ের দাপটে নাজেহাল জেলাগুলিও। বর্ধমানের আউশগ্রাম, ভাতার, খণ্ডঘোষ, মেমারিতে শনিবারও দফায় দফায় লোডশেডিং হয়েছে। সমস্যায় পড়েছেন কৃষকরাও। খরিফ চাষের জন্য পাম্প চালিয়ে জল তুলতে পারছেন না তারা।