খামখেয়ালি আবহাওয়ায় ক্ষতির মুখে আলুচাষিরা
গতবার অতি উত্পাদনে ক্ষতির মুখে পড়েছিলেন হুগলি জেলার আলু চাষিরা। আর এবারে আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় মাথায় হাত তাঁদের। গাছের রোগ, মেঘলা আকাশ। গাছ বাঁচাতে নাভিশ্বাস কৃষকদের। উত্পাদন কম হলেও খরচের টাকা জুটবে কি না, তা নিয়ে চিন্তিত হুগলির আলু চাষিরা।
গতবার অতি উত্পাদনে ক্ষতির মুখে পড়েছিলেন হুগলি জেলার আলু চাষিরা। আর এবারে আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় মাথায় হাত তাঁদের। গাছের রোগ, মেঘলা আকাশ। গাছ বাঁচাতে নাভিশ্বাস কৃষকদের। উত্পাদন কম হলেও খরচের টাকা জুটবে কি না, তা নিয়ে চিন্তিত হুগলির আলু চাষিরা।
ডিসেম্বরের শেষে শীত বেশি পড়ায় আলু চাষ ভালো হবে বলে আশা করেছিলেন হুগলি জেলার আলু চাষিরা। কিন্তু জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকেই উধাও শীত। সঙ্গে মেঘলা আকাশ ও কুয়াশা। ঠান্ডা কমে যাওয়ায় আলু গাছে ধসা রোগ হচ্ছে। এর ফলে গাছ শুকিয়ে যাচ্ছে। ওষুধ দিয়ে কোনওরকমে গাছ বাঁচানোর চেষ্টা করছেন কেউ কেউ।এতে বাড়ছে খরচ। আগে এক বিঘা জমিতে আলু চাষ করলে খরচ হত আট ৮ থেকে ৯ হাজার টাকা। এখন সেটা এক লাফে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ থেকে ১২ হাজারে।
গত বছর বিঘা প্রতি ৯০ থেকে ১০০ বস্তা আলু উত্পাদন হয়েছিল। সাধারণত আলু উত্পাদন হয় বিঘাপ্রতি ৭০ থেকে ৮০ বস্তা। উত্পাদন বেশি হলে, আলুর দর কম হলেও অসুবিধা হয় না। গত বছর যারা খেত থেকে আলু তুলে বিক্রি করেছিলেন, তাঁরা মোটামুটি দাম পেয়েছিলেন। পরে দর বাড়লে বিক্রির আশায় আর যাঁরা হিমঘরে রেখেছিলেন, ডুবেছেন তাঁরা। এবারে উত্পাদন কম হলে কী দরে আলু বিক্রি হবে, তা নিয়ে এখন থেকেই চিন্তিত আলু চাষিরা।