ফকিরচাঁদ কলেজে সংঘর্ষের ঘটনায় প্রশ্নে জেরবার পুলিস
ফকিরচাঁদ কলেজে সংঘর্ষে জড়িয়ে দুই অভিযুক্তসহ বিধায়ক গ্রেফতার। জামিন পেলেও দল থেকে সাসপেন্ড ডায়মন্ডহারবারের বিধায়ক দীপক হালদার। কিন্তু সেদিন সংঘর্ষে ইন্ধন জোগান যাঁরা, তৃণমূলের সেই নেতাদের গ্রেফতারই করেনি পুলিস। গোলমালে তাঁদের মদতের এক্সক্লুসিভ ফুটেজ চব্বিশ ঘণ্টার হাতে।
কিরচাঁদ কলেজে সংঘর্ষে জড়িয়ে দুই অভিযুক্তসহ বিধায়ক গ্রেফতার। জামিন পেলেও দল থেকে সাসপেন্ড ডায়মন্ডহারবারের বিধায়ক দীপক হালদার। কিন্তু সেদিন সংঘর্ষে ইন্ধন জোগান যাঁরা, তৃণমূলের সেই নেতাদের গ্রেফতারই করেনি পুলিস।
১৪সেপ্টেম্বর, ২০১৫
ডায়মন্ডহারবারের ফকিরচাঁদ কলেজ রণক্ষেত্র । মারমুখী বিধায়ক। টার্গেট তৃণমূলের একশ্রেণির কর্মী -সমর্থক এবং পুলিস। কিন্তু হঠাত্ কেন এই ধুন্ধুমার? ডায়মন্ডহারবারের তৃণমূল বিধায়ক দীপক হালদারের দাবি,এই গোলমালের খবর পেয়েই কলেজে ছুটে যান তিনি।
বিধায়কের এই সাফাইয়ে অবশ্য চিঁড়ে ভেজেনি। উল্টে পুলিস ও সাংবাদিকদের মারধরে তাঁর মদতের ফুটেজ ঘিরে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড়। কিন্তু বিধায়ককে গ্রেফতারের পরও প্রশ্নের মুখে পুলিস।
প্রশ্ন ১
হাঙ্গামায় মদত দেওয়া সত্ত্বেও তৃণমূল কাউন্সিলর দেবকী হালদার গ্রেফতার হননি কেন?
প্রশ্ন ২
সংঘর্ষে জড়িত থাকা সত্ত্বেও তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী মালা মণ্ডল এখনও কেন অধরা?
প্রশ্ন ৩
ছাত্র সংসদের দফতরে বেপরোয়া ভাঙচুরের ঘটনায় পুলিস কেন নির্বিকার?
গ্রেফতারের পরই দলের একাংশের বিরুদ্ধে চক্রান্তের অভিযোগ তোলেন বিধায়ক। কলেজকাণ্ডের জেরে তাঁকে সাসপেন্ডও করেছে তৃণমূল। আর তারই জেরে প্রশ্ন উঠছে দীপক হালদারের বিরোধী তৃণমূল ব্লক সভাপতি উমাপদ পুরকাইতের ঘনিষ্ঠ বলেই কি দেবকী হালদারকে ছাড়? উমাপদ-শিবিরের অনুগামী বলেই কি TMCP নেত্রী মালা মণ্ডলের সাত খুন মাফ?
দীপক হালদার বনাম উমাপদ পুরকাইতের গোষ্ঠীর টানাপোড়েন নিয়ে তৃণমূল নেতাদের মুখে কুলুপ। এদিকে শাসকদলের অভ্যন্তরীন সমীকরণ সামাল দিতে গিয়েই আপাতত প্রশ্নের মুখে পুলিস।