এবার শুভেন্দুদের হুমকির মুখে তৃণমূলেরই শ্রমিকরা

আজও থমথমে হলদিয়া। পুলিসি নিরাপত্তার ঘেরাটোপ থাকলেও এখনও শুরু করা যায়নি বন্দরের কাজ। এবিজি কর্মীদের অভিযোগ, তাঁদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দিচ্ছে তৃণমূল কর্মীরা। পুলিসের বিরুদ্ধেও মারধরের অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা।

Updated By: Oct 29, 2012, 06:01 PM IST

আজও থমথমে হলদিয়া। পুলিসি নিরাপত্তার ঘেরাটোপ থাকলেও এখনও শুরু করা যায়নি বন্দরের কাজ। এবিজি কর্মীদের অভিযোগ, তাঁদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দিচ্ছে তৃণমূল কর্মীরা। পুলিসের বিরুদ্ধেও মারধরের অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা।
অচলাবস্থা অব্যাহত হলদিয়া বন্দরে। গতকাল যে সব শ্রমিকরা এবিজি-র হয়ে মুখ খুলেছিলেন তাঁদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে হচ্ছে বলে অভিযোগ। অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল কংগ্রসের বিরুদ্ধে। তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ শুভেন্দু অধিকারীর সাঙ্গপাঙ্গরা শ্রমিকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন ওই শ্রমিকরা।
অন্যদিকে, পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিস সুপার সুকেশ জৈন দাবি করেছেন এবিজির আধিকারিকদের অপহরণ করা হয়নি। স্বেচ্ছায় হলদিয়া ছেড়ে চলে গেছেন তাঁরা। সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, হামলার অভিযোগ পেয়ে শনিবার রাতে হলদিয়া থানার অফিসার শঙ্খিনী আবাসনে যান। কোনও দুষ্কৃতীকে দেখতে পাননি তিনি। ভূষণ পাতিলকে মোবাইল নম্বর দেন ওই অফিসার। কিছুক্ষণ পর হলদিয়া থানার আইসি ফের ওই আবাসনে যান। কোনও দুষ্কৃতী বা এবিজির ৩ আধিকারিক, কাউকেই খুঁজে  পাননি তিনি।
পুলিস সুপার এই দাবি করলেও সংশ্লিষ্ট আবাসনের বাসিন্দারা কিন্তু অন্য কথা বলছেন।  হলদিয়ার মাখনবাবুর বাজারের কাছে শঙ্খিনী আবাসনে থাকতেন এবিজির জেনারেল ম্যানেজার মনপ্রীত জলি, অপারেশন ম্যানেজার জগদীশ বেহেরা ও জিএম টেকনিক্যাল ভূষণ পাতিল। অভিযোগ, শনিবার গভীর রাতে আবাসনে হানা দেয় দুষ্কৃতীরা।  অপহরণ করা হয় তাঁদের। পরে, থানায় অভিযোগ দায়ের করে এবিজি।
সংস্থার তরফে প্রেস বিবৃতিতে বলা হয়,  ৩ অফিসার, মনপ্রীত জলি, জগদীশ বেহরা ও ভূষণ পাতিলকে রাত একটা নাগাদ অপহরণ করা হয়। অপহরণ করা হয় ভূষণ পাতিলের স্ত্রী ও তাঁদের এক বছরের শিশুকেও। প্রায় ৫০ জন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি হনুমান টুপি ও মাফলার জড়িয়ে অফিসারদের ওপর চড়াও হয়। বন্দুক ঠেকিয়ে ভয় দেখানো হয়। বলা হয়, ভবিষ্যতে হলদিয়ায় পা রাখলে পরিণতি খুব খারাপ হবে। বাধ্য হয়ে ভয়ে হলদিয়া ছেড়েছেন ওই ৩ কর্তা।
গোটা ঘটনায় এখনও আতঙ্কিত শঙ্খিনী আবাসনের বাসিন্দারা। এই অবস্থায়, পুলিস সুপার অপহরণের অভিযোগ অস্বীকার করায় পুলিসের ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।  

.