ধূপগুড়িতে ধর্ষণ, খুনের অভিযোগ ওড়াল পুলিস, সমালোচনায় সিপিআইএম

Updated By: Oct 27, 2014, 11:00 PM IST

ধূপগুড়ি-কাণ্ডে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ উড়িয়ে দিল পুলিস। চার্জশিটে আত্মহত্যার কথা বলা হয়েছে। শাসকদলের চাপে পুলিস ঘটনা ধামাচাপা দিতে চাইছে বলে অভিযোগ করেছে সিপিআইএম।      

পয়লা সেপ্টেম্বর সন্ধেয় ধুপগুড়ি পুরসভার ন-নম্বর ওয়ার্ডে ডাকা হয়েছিল সালিশি সভা। পাওয়ার টিলারের ভাড়া নিয়ে বিবাদ মেটাতে সভা ডেকেছিলেন তৃণমূল কাউন্সিলর নমিতা রায়ের স্বামী চন্দ্রকান্ত রায়। নিহত কিশোরীর পরিবার এলাকায় সিপিআইএম সমর্থক হিসাবেই পরিচিত। সালিশি সভায় ওই কিশোরীর সামনেই তার বাবাকে মারধর করা হয়। বাবাকে মারধরের প্রতিবাদ করে সালিশি সভা থেকে চলে যায় ওই কিশোরী। পরের দিন রেললাইনের ধারে তার বিবস্ত্র দেহ পাওয়া যায়। তাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করে কিশোরীর পরিবার। তৃণমূল নেতা চন্দ্রকান্ত রায় সহ পনেরো জনকে গ্রেফতার করে পুলিস। একজন এখনও ফেরার। জলপাইগুড়ি মহকুমা আদালতে ধুপগুড়ি-কাণ্ডে চার্জশিট দিয়েছে ময়নাগুড়ি জিআরপি ।

কিশোরীর পরিবার খুন ও ধর্ষণের অভিযোগ করলেও পুলিসের চার্জশিটে আত্মহত্যা এবং আত্মহত্যায় প্ররোচণার কথা বলা হয়েছে। চার্জশিটে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ না থাকায় শাসকদল ও পুলিসের সমালোচনা করেছে সিপিআইএম। ধুপগুড়ি-কাণ্ডে সুবিচারের দাবিতে নিহত কিশোরীর বাড়িতে গিয়েছিলেন বিরোধীরা।  সুবিচারের আশ্বাস দিয়েছিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রীও। পুলিসের চার্জশিটে খুন, ধর্ষণের অভিযোগ না থাকলেও বিচারের আশা তিনি ছাড়েননি বলে জানিয়েছেন নিহত কিশোরীর বাবা।

 

.