বিচারের দাবিতে প্রতিবাদে লোবা
পুলিস বলছে, গুলি চলেনি লোবায়। হাইকোর্টে একথা জানিয়ে রিপোর্টও জমা দেওয়া হয়েছে জেলা পুলিসের পক্ষ থেকে। অথচ স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে প্রশাসন। এর প্রতিবাদে শুক্রবার বীরভূমের এসপির অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান লোবার বাসিন্দারা। অন্যদিকে, হাইকোর্টে এ দিন লোবা-মামলার শুনানি ছিল। ঘটনার বিস্তারিত বিবরণসহ রাজ্য সরকারকে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
পুলিস বলছে, গুলি চলেনি লোবায়। হাইকোর্টে একথা জানিয়ে রিপোর্টও জমা দেওয়া হয়েছে জেলা পুলিসের পক্ষ থেকে। অথচ স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে প্রশাসন। এর প্রতিবাদে শুক্রবার বীরভূমের এসপির অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান লোবার বাসিন্দারা। অন্যদিকে, হাইকোর্টে এ দিন লোবা-মামলার শুনানি ছিল। ঘটনার বিস্তারিত বিবরণসহ রাজ্য সরকারকে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
লোবার বাসিন্দাদের এই বিক্ষোভ পুলিস-প্রশাসনের বিরুদ্ধে। লোবার ঘটনায় হাইকোর্টে পেশ হওয়া রিপোর্টে গুলি চলেনি বলে জানিয়েছেন বীরভূমের পুলিস সুপার। আর এতেই ক্ষুব্ধ স্থানীয় মানুষ। তাঁদের অভিযোগ, আদালতে ভুল তথ্য দিয়েছে পুলিস।
বীরভূমের এসপির অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ চলে বেশ খানিকক্ষণ। ভবিষ্যতে আরও বড়সড় আন্দোলনেরও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। বাসিন্দাদের এই বিক্ষোভকে অবশ্য আমল দিতে নারাজ তৃণমূল কংগ্রেস। এই বিক্ষোভকে নাটক বলে কটাক্ষ করেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।
অন্যদিকে, শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে এই মামলার শুনানিতে আবেদনকারীদের পক্ষে সওয়াল করেন আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য। তাঁর বক্তব্য ছিল, ঘটনায় পাঁচ জনের দেহে গুলির চিহ্ন মিলেছে। যাতে গুলি চালনার ঘটনা সামনে না আসে সেজন্য হাসপাতালের চিকিত্সক ও নার্সদের শাসক দলের তরফে চাপ দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। এরপরই লোবার ঘটনার বিস্তারিত তথ্য দিয়ে রাজ্য সরকারকে পাল্টা হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। তিন সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যকে এই মর্মে হলফনাম জমা দিতে হবে।