`অতিসক্রিয়` পুলিস, বেলঘরিয়ায় আটক গণআন্দোলনের কর্মীরা
গত কাল বেলঘরিয়া স্টেশন চত্বর থেকে গণ আন্দোলনের দুই কর্মীকে আটক করে পুলিস। দীর্ঘক্ষণ জেরার পর ছেড়ে দেওয়া হয় তাঁদের। বেলঘরিয়ার আশেপাশে মাওবাদীরা আস্তানা গাড়ছে বলে দিন কয়েক আগেই জানিয়েছিলেন পরিবহণ মন্ত্রী মদন মিত্র। প্রশ্ন উঠছে সে কারণেই কি পুলিসের এই অতি সক্রিয়তা?
গত কাল বেলঘরিয়া স্টেশন চত্বর থেকে গণ আন্দোলনের দুই কর্মীকে আটক করে পুলিস। দীর্ঘক্ষণ জেরার পর ছেড়ে দেওয়া হয় তাঁদের। বেলঘরিয়ার আশেপাশে মাওবাদীরা আস্তানা গাড়ছে বলে দিন কয়েক আগেই জানিয়েছিলেন পরিবহণ মন্ত্রী মদন মিত্র। প্রশ্ন উঠছে সে কারণেই কি পুলিসের এই অতি সক্রিয়তা?
তেরোই জুলাই এই মন্তব্য করেছিলেন পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্র। আর তার ঠিক ন`দিনের মাথায় বেলঘরিয়া স্টেশন লাগোয়া একটি চায়ের দোকান থেকে দুই যুবককে তুলে নিয়ে গেলেন বেলঘরিয়া থানার এএসআই। পুলিসের তরফে বলা হল, তাঁদের বিরুদ্ধে নাকি গণ আবেদন জমা পড়েছে থানায়। যে দুজনকে সোমবার সন্ধেয় তুলে নিয়ে যায় পুলিস তাঁদের একজন মৃণালকান্তি জানা পেশায় চিত্র সাংবাদিক। বর্তমানে রূপকলা কেন্দ্রের সঙ্গে যুক্ত। অন্যজন হিমাদ্রি ভট্টাচার্য গণ আন্দোলনের কর্মী।
গভীর রাত পর্যন্ত বেলঘরিয়া থানার পুলিস তাঁদের জেরা করে। জিজ্ঞাসাবাদ করেন ব্যারাকপুরের পুলিস কর্তারাও। কিন্তু কেন তাঁদের ধরে এনে জেরা করা হল? আর কেনই বা তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হল? সদুত্তর মেলেনি তার। পুলিসের দাবি, সাত-আট জনের বিরুদ্ধে বেআইনি কার্যকলাপে যুক্ত থাকার অভিযোগ জানিয়ে বেলঘরিয়া থানায় গণ আবেদন জমা দিয়েছিলেন এলাকার মানুষ। তার ভিত্তিতেই মৃণালকান্তি জানা আর হিমাদ্রি ভট্টাচার্যকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। বাকিদেরও প্রয়োজনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। শুধুমাত্র ডেপুটেশনের ভিত্তিতেই কি এই আটক, নাকি মন্ত্রীর হুকুম পালন করতে গিয়ে পুলিসের এই অতি সক্রিয়তা, প্রশ্নটা কিন্তু উঠতে শুরু করেছে।