নিম্ন মানের দু'টাকার কিলোর চাল এখন গরুর খাদ্য, দামি চাল কিনতে বাধ্য হচ্ছেন জঙ্গলমহলের মানুষ
মান খারাপ। তাই রাজ্যের দেওয়া দু টাকা কিলো দরে চাল যাচ্ছে গরুর পেটে। অনেকে আবার বাধ্য হয়ে বাজারে ওই চাল দশ টাকা কেজি দরে বিক্রি করে দামী চাল কিনে খাচ্ছেন। জঙ্গলমহলের মানুষের দাবি, দিনের পর দিন নিম্নগামী হচ্ছে দরিদ্রদের জন্য বরাদ্দ চালের মান। জঙ্গলমহলের বিভিন্ন জায়গায় সরেজমিনে তা খতিয়ে দেখলেন চব্বিশ ঘণ্টার প্রতিনিধি সুতপা সেন। ক্ষমতায় আসার পরই পাহাড় এবং জঙ্গলমহলে শান্তি ফেরানোই ছিল মুখ্যমন্ত্রীর মূল লক্ষ্য।
ব্যুরো: মান খারাপ। তাই রাজ্যের দেওয়া দু টাকা কিলো দরে চাল যাচ্ছে গরুর পেটে। অনেকে আবার বাধ্য হয়ে বাজারে ওই চাল দশ টাকা কেজি দরে বিক্রি করে দামী চাল কিনে খাচ্ছেন। জঙ্গলমহলের মানুষের দাবি, দিনের পর দিন নিম্নগামী হচ্ছে দরিদ্রদের জন্য বরাদ্দ চালের মান। জঙ্গলমহলের বিভিন্ন জায়গায় সরেজমিনে তা খতিয়ে দেখলেন চব্বিশ ঘণ্টার প্রতিনিধি সুতপা সেন। ক্ষমতায় আসার পরই পাহাড় এবং জঙ্গলমহলে শান্তি ফেরানোই ছিল মুখ্যমন্ত্রীর মূল লক্ষ্য।
জঙ্গলমহলে শান্তি ফিরেছে। মাওবাদী সক্রিয়তা কমেছে। তাদের মূল স্রোতে ফেরানোর উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে। প্রতিশ্রুতি মতো গরীব মানুষকে দু টাকা কিলো দরে চাল দেওয়া শুরু করেছে রাজ্য সরকার। কিন্তু দু বছরের মধ্যেই মুখ থুবরে পড়তে চলেছে সরকারের এই উদ্যোগ। রেশন থেকে দেওয়া চালের মান এতটাই খারাপ যে গরীব মানুষদের মুখেও তা রুচছে না।
মানুষকে ভরপেট খাওয়ানোর মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্ন এভাবেই চুরমার হচ্ছে প্রতিদিন প্রতিনিয়ত। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পৌছনো সম্ভব নয়। তাই রেশন দোকানের মালিকের কাছেই অভিযোগ জানাচ্ছেন উপভোক্তারা। অভিযোগ জানাচ্ছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিকেও। জবাব মিলছে, দুটাকা কিলো দরে, এর থেকে ভাল আর কিছু হয় না।
চালের পাশাপাশি আটার মানেও সন্তুষ্ট নন বিপিএল তালিকাভূক্তরা। রেশনে পাওয়া আটার সঙ্গে ভাল আটা মেশালে, তবেই তা খাওয়ার যোগ্য। বলছেন জঙ্গলমহলের বাসিন্দারা।
কম দামে চাল বা আটা তবু পাওয়া যায়। কিন্তু বাসিন্দাদের অভিযোগ, অধিকাংশ এলাকাতেই অমিল কেরোসিন।