অধ্যাপক, উপাচার্যদের সাহস জোগালেও টিএমসিপির দৌরাত্মের প্রশ্নে নীরব শিক্ষামন্ত্রী
কোনও চাপের কাছেই যেন অধ্যাপক, উপাচার্যরা মাথা নত না করেন । বাঙালঝি কলেজের ঘটনার পর আজ এক অনুষ্ঠানে এমনই অনুরোধ করলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু টোকাটুকির ঘটনায় কেন বারেবারে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নাম জড়াচ্ছে সে বিষয়ে নীরব শিক্ষামন্ত্রী।
দোষীদের শাস্তি দেওয়া কথা বললেও টোকাটুকির ঘটনা এড়াতে সরকার কেন কোনও নির্দেশিকা জারি করছে না সেবিষয়েও প্রশ্ন তৈরি হচ্ছে। অতিরিক্ত ছাত্র ভর্তি করার জন্য রাজনৈতিক নেতারা চাপ দিচ্ছেন। নিজেদের পছন্দ মত ছাত্র ভর্তি করতে চাপ দিচ্ছে ছাত্র সংগঠন। গত কয়েক মাসে প্রকাশ্যে এসেছে এই ধরনের নানা ঘটনা। টুকতে দেওয়ার দাবিতে বাঙালঝি কলেজের অধ্যক্ষকে চাপ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ পরিচালিত ছাত্র সংসদের বিরুদ্ধে। চাপের মুখে শেষ পর্যন্ত পদত্যাগ করেন কলেজের অধ্যক্ষ। গোটা ঘটনায় সমালোচনার ঝ়ড় ওঠে। বুধবার বণিকসভার এক অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন অধ্যাপক ও উপাচার্যরা যেন কোনও চাপের কাছেই মাথা নত না করেন ।
শিক্ষামন্ত্রীর এই বক্তব্যকে স্বাগত জানিয়েছে এস এফ আই ও টিএমসিপি।এস এফ আই নেতৃত্বের দাবি, শিক্ষামন্ত্রী বক্তব্য শোনে না তাঁর দলের ছাত্র সংগঠনই। যদিও তৃণমূল ছাত্র পরিষদ সভাপতির দাবি তারা চাপ দিয়ে কোনওরকম কিছু আদায় করেন না।
অধ্যাপক, উপাচার্যদের মাথা নত করতে বারন করছেন শিক্ষামন্ত্রী। কিন্তু তাঁর দলের ছাত্র সংগঠনই টোকাটুকির জন্য চাপ দেওয়ার সাহস কিভাবে পাচ্ছে। সেবিষয়ে নীরব শিক্ষামন্ত্রী। কেন দলীয় স্তরে তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না ইতিমধ্যেই উঠতে শুরু করেছে সেই প্রশ্ন।