এনসেফ্যালাইটিসের সঙ্গেই এবার জঙ্গলমহলে থাবা ম্যালিগন্যান্ট ম্যালেরিয়ার

Updated By: Aug 27, 2014, 11:14 PM IST
এনসেফ্যালাইটিসের সঙ্গেই এবার জঙ্গলমহলে থাবা ম্যালিগন্যান্ট ম্যালেরিয়ার

এনসেফ্যালাইটিসের প্রকোপের মাঝেই রাজ্যের জঙ্গলমহলে থাবা বসাল ম্যালিগন্যান্ট ম্যালেরিয়া। শুধুমাত্র জুলাই মাসেই আমলাশোলের একশো সাত জনের রক্তে ম্যালিগন্যান্ট ম্যালেরিয়ার উপস্থিতি ধরা পড়েছে। সা

ধারণ ম্যালেরিয়ার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি সংখ্যায় ম্যালিগন্যান্ট ম্যালেরিয়া ধরা পড়ায় আতঙ্কে রয়েছেন ওই এলাকার মানুষ।আমলাশোল। জঙ্গলমহলের পিছিয়ে পড়া এই এলাকা বরাবরই ম্যালেরিয়া প্রবণ। ফলে এই এলাকার বাসিন্দাদের রক্তে প্রায়শই সাধারণ ম্যালেরিয়ার পরজীবী প্লাসমোডিয়াম ভাইভ্যাক্সের উপস্থিতি পাওয়া যায়। কিন্তু গত কয়েকমাসে এই আমলাশোলেরই ঘুম কেড়েছে ম্যালিগন্যান্ট ম্যালেরিয়া।

ম্যালিগন্যান্ট ম্যালেরিয়ার জন্য দায়ী পরজীবী প্লাসমোডিয়াম ফ্যালসিফেরাম। দ্রুত মস্তিষ্ক আক্রান্ত হওয়ায় এধরণের ম্যালেরিয়ায় রোগীর মৃত্যুর আশঙ্কা অনেকটাই বেড়ে যায়।
সরকারি নথি বলছে, গত কয়েক মাসে আমলাশোলে ভাইভ্যাক্স নয়, মারাত্মক ফ্যালসিফেরাম ম্যালেরিয়াতে আক্রান্ত মানুষ সংখ্যা কয়েকগুণ বেশি। ফলে সাধারণ ম্যালেরিয়ায় চিকিত্সায় তেমন ফল পাওয়া যাচ্ছে না।

সরকারি রক্ত পরীক্ষার হিসেব অনুযায়ী, গত জুলাইয়ে সাধারণ ম্যালেরিয়া সন্ধান মিলেছে চুয়াল্লিশজনের রক্তে। সেখানে ওই মাসেই ফ্যালসিফেরাম ম্যালেরিয়ার আক্রান্তের সংখ্যাটা ছিল একশো সাত। চলতি মাসে ইতিমধ্যেই তেইশজন ম্যালিগন্যান্ট ম্যালেরিয়া আক্রান্তের খবর মিলেছে। তবে রোগের প্রকোপ আস্বাভাবিক রকম বাড়লেও ওই এলাকায় ম্যালেরিয়ার মৃত্যুর সংখ্যাটা কিছুটা স্বস্তি দিচ্ছে প্রশাসনকে। গত আটমাসে আমলাশোলে ম্যালেরিয়ায় মৃত্যু হয়েছে মাত্র পাঁচ জনের।

 

.