৩ বছরের লড়াই, অবশেষে ক্রেতা সুরক্ষা আদালতের রায় ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ পাচ্ছেন রোগী

তিনবছরের লড়াই শেষে মিলল বিচার। ক্রেতা সুরক্ষা আদালতের রায়ে পাঁচ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ পাবেন রোগী। দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটের কসবার বাসিন্দা তরুন মজুমদার পায়ে চোট নিয়ে দুহাজার এগারো সালে ভর্তি হয়েছিলেন স্থানীয় একটি নার্সিং হোমে। চিকিতসকের ভুল চিকিতসায় হাত অবশ হয়ে যায় তাঁর।

Updated By: Mar 1, 2014, 11:24 PM IST

তিনবছরের লড়াই শেষে মিলল বিচার। ক্রেতা সুরক্ষা আদালতের রায়ে পাঁচ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ পাবেন রোগী। দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটের কসবার বাসিন্দা তরুন মজুমদার পায়ে চোট নিয়ে দুহাজার এগারো সালে ভর্তি হয়েছিলেন স্থানীয় একটি নার্সিং হোমে। চিকিতসকের ভুল চিকিতসায় হাত অবশ হয়ে যায় তাঁর।

দুহাজার বারো সালে ক্রেতা সুরক্ষা আদালতে মামলা করেন তপন বাবু। সেই মামলাতেই অভিযুক্ত চিকিতসককে পাঁচলক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ভুল চিকিত্সার খেসারত। বেসরকারি হাসপাতালের চিকিত্সককে পাঁচলক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ ক্রেতা সুরক্ষা আদালতের। ঘটনা বালুরঘাটের একটি বেসরকারি হাসপাতালের। বালুরঘাটের কসবা গ্রামের বাসিন্দা পেশায় দিনমজুর তরুন মজুমদার পায়ে চোট নিয়ে দুহাজার এগারো সালের নয়ই এপ্রিল বালুরঘাটের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে তাঁর পায়ের অস্ত্রপচার করেন চিকিতসক অলোক মাইতি। অস্ত্রপচারের পর রোগী বুঝতে পারেন তার ডান হাস সম্পূর্ণ অবশ হয়ে গেছে। সমস্যা কয়েকদিন পরেই কেটে যাবে বলে চিকিতসক আশ্বস্ত করলেও পা সারাতে গিয়ে হাতের সমস্যা নিয়ে বাড়ি ফেরেন দিনমজুর তরুন মজুমদার। দুহাজার বারোর ষোলই এপ্রিল চিকিতসক অলোক মাইতির ও ও বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে ভুল চিকিতসার অভিযোগ এনে জেলা ক্রেতা সুরক্ষা দফতরে মামলা করেন তরুন বাবু।দুবছর পর সেই মামলাতেই অবশেষে জয়ী হয়েছেন তরুন মজুমদার। অভিযুক্ত চিকিতসককে পাঁচ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অবশ্য তাদের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগই অস্বীকার করেছে।

.