গলসিতে আত্মঘাতী ধান ব্যবসায়ী, কেতুগ্রামে খেতমজুর
একের পর এক কৃষকের পর এবার আত্মঘাতী হলেন এক ধান ব্যবসায়ী। মৃত ব্যবসায়ীর নাম কাঞ্চন রুইদাস। বাড়ি বর্ধমানের গলসি থানার পারাজ গ্রামে। পরিবারসূত্রে জানা গিয়েছে, তিন মাস ধরে ধান কেনা-বেচার ব্যবসা একেবারেই ভালো চলছিল না কাঞ্চনবাবুর।
একের পর এক কৃষকের পর এবার আত্মঘাতী হলেন এক ধান ব্যবসায়ী। মৃত ব্যবসায়ীর নাম কাঞ্চন রুইদাস। বাড়ি বর্ধমানের গলসি থানার পারাজ গ্রামে। পরিবারসূত্রে জানা গিয়েছে, তিন মাস ধরে ধান কেনা-বেচার ব্যবসা একেবারেই ভালো চলছিল না কাঞ্চনবাবুর। চরম আর্থিক অনটনের মধ্যে পড়ে ধার করে সংসার চালাতে হচ্ছিল তাঁকে। ফলে বেশ কিছুদিন ধরেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন তিনি। ২৬ জানুয়ারি গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন কাঞ্চনবাবু। পাড়া-প্রতিবেশীরাই তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করেন। এরপর তাঁকে নিয়ে য়াওয়া হয় একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে। সোমবার সকালে মৃত্যু হয় ৩২ বছরের কাঞ্চবাবুর।
সোমবার কেতুগ্রামে আত্মহত্যা করেন এক খেতমজুর। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত মরশুমের ধান বিক্রি না-হওয়ায় বোরো চাষ কম হয়েছে। ফলে দীর্ঘদিন ধরে কাজ জুটছিল না কেতুগ্রাম থানার তৈপুর গ্রামের খেতমজুর পুন মাঝির। মেলেনি একশো দিনের কাজও। ওদিকে ক্রমশ বাড়ছিল দেনার পরিমাণ। অসহায় অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে পুন মাঝি কীটনাশক খেয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন বলে পরিবারের দাবি।