দলের খোলনলচে বদলে তৃণমূলে নতুনদের জয়জয়কার, শুভেন্দুর ডানা ছেঁটে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের দায়িত্বে সৌমিত্র খাঁ

দলের সাংগঠনিক রদবদলে এবার নব্য তৃণমূলীদেরই জয়জয়কার। শুভেন্দু অধিকারী, সাবিত্রী মিত্র সহ বেশ কয়েকজনকে সরিয়ে সৌমিত্র খাঁ, ইন্দ্রনীল, বাইচুংদের মতো নব্যদের দায়িত্বে নিয়ে এলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গোষ্ঠীকোন্দল বন্ধে দল যে ভবিষ্যতে আরও কড়া পথে হাঁটবে, সে বার্তাও দিয়ে রাখলেন তৃণমূলনেত্রী। পিটিসি (জন্মের পর থেকে এত বড় পরিবর্তন)

Updated By: May 30, 2014, 08:16 PM IST

দলের সাংগঠনিক রদবদলে এবার নব্য তৃণমূলীদেরই জয়জয়কার। শুভেন্দু অধিকারী, সাবিত্রী মিত্র সহ বেশ কয়েকজনকে সরিয়ে সৌমিত্র খাঁ, ইন্দ্রনীল, বাইচুংদের মতো নব্যদের দায়িত্বে নিয়ে এলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গোষ্ঠীকোন্দল বন্ধে দল যে ভবিষ্যতে আরও কড়া পথে হাঁটবে, সে বার্তাও দিয়ে রাখলেন তৃণমূলনেত্রী। পিটিসি (জন্মের পর থেকে এত বড় পরিবর্তন)

কার্যত খোলনলচে বদলে দিয়ে দলের কর্মীদের বড় বার্তা দিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যুব কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দিলেন শুভেন্দু অধিকারীকে। নন্দীগ্রাম আন্দোলনের সাফল্য, এবারের লোকসভা নির্বাচনে দুই মেদিনীপুরের সব কটি আসন ধরে রাখার পরেও, সরতে হল শুভেন্দু অধিকারীকে।

শুভেন্দুর জায়গায় তৃণমূল যুব কংগ্রেসের দায়িত্বে এসেছেন সৌমিত্র খাঁ। এক বছর আগেও কংগ্রেসের বিধায়ক ছিলেন তিনি। তবে এখন তৃণমূলের সাংসদ।

ব্যাপক রদবদল হয়েছে জেলা স্তরেও। পূর্ব মেদিনীপুরে শিশির অধিকারীর সঙ্গে জেলা সভাপতির দায়িত্বে আনা হয়েছে অখিল গিরিকে। শুভেন্দুর সঙ্গে দলের সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে বিধায়ক শিউলি সাহাকেও। জলপাইগুড়িতে তৃণমূলের জেলা সভাপতি হচ্ছেন সৌরভ চক্রবর্তী। নদিয়ার কার্যকরী সভপতি হয়েছেন অজয় দে। সরিয়ে দেওয়া হয়েছে মালদা জেলার সভানেত্রী সাবিত্রী মিত্রকে। মালদা জেলা সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন মোয়াজ্জেম হোসেন। মুর্শিদাবাদে জেলা পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে এসেছেন ইন্দ্রনীল সেন। দার্জিলিং জেলার কার্যনির্বাহী সভাপতি করা হয়েছে বাইচুং ভুটিয়াকে। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে উত্তর চব্বিশ পরগনার জেলা তৃণমূল সভাপতি করে, নান্টু ঘোষকে জেলা পর্যবেক্ষক করা হয়েছে। ইদ্রিশ আলিকে সরিয়ে সংখ্যালঘু সেলের চেয়ারম্যান করা হয়েছে হাজি নুরুলকে। মন্ত্রিত্ব গেলেও শিক্ষাসেল রাখা হয়েছে ব্রাত্য বসুর হাতেই।

কেন এত পরিবর্তন করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? তৃণমূলের অন্দরের খবর, লোকসভা ভোটে আসন বাড়লেও কিছু অশুভ সংকেত সামনে উঠে আসছে।

প্রথমত, বিজেপির উত্থান ভাবাচ্ছে তৃণমূলকে।

দ্বিতীয়ত, ৩৯ শতাংশ ভোট পেলেও, তৃণমূলনেত্রী ভাল করেই জানেন, সবটা সঠিক নয়। বহু বুথে বিরোধীরা দুটো চারটের বেশি ভোট পায়নি। এই ফলও ভাবাচ্ছে দলকে।

তৃতীয়ত, দলের অভ্যন্তরে গোষ্ঠীকোন্দল।

.