অভাবের তাড়নায় সদ্যজাতকে ১৩ হাজার টাকায় বিক্রি করলেন মা
অভাবের তাড়নায় সদ্যোজাতকে বিক্রি করে দিলেন মা। বিক্রি করে দিলেন মাত্র তেরো হাজার টাকায়। জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন গৌরী দাস। কিন্তু চিকিত্সার খরচ জোগাড় করতে না পেরে, শেষ পর্যন্ত সদ্যোজাতকেই বিক্রি করে দিলেন তিনি।
অভাবের তাড়নায় সদ্যোজাতকে বিক্রি করে দিলেন মা। বিক্রি করে দিলেন মাত্র তেরো হাজার টাকায়। জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন গৌরী দাস। কিন্তু চিকিত্সার খরচ জোগাড় করতে না পেরে, শেষ পর্যন্ত সদ্যোজাতকেই বিক্রি করে দিলেন তিনি।
পাতার ছাউনি দিয়ে ঘেরা ঘর। গেরস্থালি বলতে রয়েছে রান্নার গুটিকয়েক জিনিসপত্র আর ছেঁড়া কাপড়চোপড়।
ডেঙ্গুয়াঝাড়ের এই বাড়িতেই থাকেন গৌরী দাস। বেশ কিছুদিন হল স্বামী সংসার ছেড়ে চলে গিয়েছেন। মা মণি কুমারী আর তিন মেয়েকে নিয়ে এই পাতার ছাউনিতেই থাকেন গৌরী। দিন গুজরান হয় ভিক্ষে করে।
ঘরে তিন মেয়ে আছে। তার ওপর আবার নতুন করে সন্তান সম্ভবা হয়েছিলেন গৌরী দাস। প্রসবের জন্য গত রবিবার তাঁকে জলপাইগড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিত্সার খরচ জোগাড় করতে পারছিল না পরিবার। অপরিচিত এক ব্যক্তি সহানুভূতির হাত বাড়িয়ে দেওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি হতে পারেন গৌরী । এক পুত্র সন্তানের জন্মও দেন তিনি।
প্রসবের পরে মা ও সন্তানের পরিচর্যার জন্য যে চিকিত্সা প্রয়োজন হয়, অভাবের কারণে তা করাতে পারছিলেন না গৌরী দাস। শেষ পর্যন্ত সদ্যোজাতকে বিক্রি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। তেরো হাজার টাকায় এক পরিবারের হাতে তুলে দেন নিজের প্রথম পুত্র সন্তানকে।