নার্সের ভুলে শিশুর আঙুল বাদ, ৪৮ ঘণ্টা পর টনক নড়ল প্রশাসনের
একেই বলে বিলম্বিত বোধোদয়। নার্সের ভুলে শিশুর আঙুল বাদ যাওয়ার পর প্রশাসনের নড়েচড়ে বসতে লাগল আটচল্লিশ ঘণ্টা। তাও আবার মুখ্যমন্ত্রী প্রতিক্রিয়া দেওয়ার পর। তড়িঘড়ি শিশুটিকে চিকিতসার জন্য
পাঠানো হয় কলকাতায়। নার্সের ভুলে কাটা গিয়েছিল সদ্যোজাতের আঙুল।
উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে রেফার করেই দায় সেরেছিলেন হাসপাতাল সুপার। সেখানে যে প্লাস্টিক সার্জারির ব্যবস্থাই নেই খোঁজ নেননি সেটুকুও। সেখান থেকে হতাশ হয়ে ফিরে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালেই
প্রহর গুনছিলেন অসহায় বাবা মা। পট বদলালো মঙ্গলবার সকালে। প্রতিক্রিয়া দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ আসতেই শুরু হয়ে গেল প্রশাসনিক তত্পরতা। তড়িঘড়ি শিশুটিকে চিকিত্সার জন্য পাঠানো হল
কলকাতায়। অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করে দিলেন পুলিস সুপার। অ্যাম্বুলেন্সে ছিলেন একজন নার্স ও ডাক্তার। রোগী কল্যাণ সমিতির তরফ থেকে দশ হাজার টাকার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। CMOH জানিয়েছেন,
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর সাসপেন্ড করা হয়েছে নার্সকে।
বিলম্বিত বোধোদয় নিয়ে সরকার ও প্রশাসনকে বিঁধেছেন বিরোধীরা। অবশেষে ঘুম ভাঙল প্রশাসনের। কিন্তু, পেরিয়ে গেছে ৪৮ ঘণ্টা। এখন শিশুটিকে কলকাতায় পাঠিয়ে আদৌ কি লাভ হবে? প্রশ্ন চিকিত্সকদেরই।