নবম শ্রেণির ছাত্র দেবাশিস ভৌমিকের খুনের পিছনে কাজ করছে কোন মোটিভ?

নেহাতই আক্রোশের মাথায় হামলা নাকি রীতিমতো পরিকল্পনা করে খুন?  নবম শ্রেণির ছাত্র দেবাশিস ভৌমিকের খুনের পিছনে কাজ করছে কোন মোটিভ? পুলিসের দাবি, দুই বন্ধু রীতিমতো পরিকল্পনা করেই তাকে খুনের ছক কষে। সেই মতো আগে থেকেই হেলিপ্যাডে খুঁড়ে রাখা হয় গর্ত। বৃহস্পতিবার রাতে ওই গর্তেই দেবাশিসের দেহ মুড়ে মাটিতে পুঁতে দেয় দুই বন্ধু।

Updated By: Feb 12, 2017, 09:17 PM IST
নবম শ্রেণির ছাত্র দেবাশিস ভৌমিকের খুনের পিছনে কাজ করছে কোন মোটিভ?

ওয়েব ডেস্ক: নেহাতই আক্রোশের মাথায় হামলা নাকি রীতিমতো পরিকল্পনা করে খুন?  নবম শ্রেণির ছাত্র দেবাশিস ভৌমিকের খুনের পিছনে কাজ করছে কোন মোটিভ? পুলিসের দাবি, দুই বন্ধু রীতিমতো পরিকল্পনা করেই তাকে খুনের ছক কষে। সেই মতো আগে থেকেই হেলিপ্যাডে খুঁড়ে রাখা হয় গর্ত। বৃহস্পতিবার রাতে ওই গর্তেই দেবাশিসের দেহ মুড়ে মাটিতে পুঁতে দেয় দুই বন্ধু।

আচমকা আক্রোশ নয়। তদন্তকারীরা বলছেন, দেবাশিস খুনের পিছনে ছিল ঠান্ডা মাথায় প্ল্যান। ব্লু প্রিন্ট তৈরি হয় স্বরস্বতী পুজোর দিনই। আর সেই জন্য বনদিঘির পাড়ে ৪ ফুট লম্বা দেড় ফুট চওড়া ১ ফুট গভীর গর্ত খুঁড়ে রাখে দুজন। কিন্ত, সেদিন মাসির বাড়ি বেড়াতে যাওয়ার কথা থাকায় সুযোগ হয়নি। বরাত জোরে বেঁচে যায় দেবাশিস। জেরায় দেবাশিসের ২ বন্দু স্বীকার করেছে।

পরিকল্পনা করেই দেবাশিসের সঙ্গে ঝামেলা মিটিয়ে ভাব জমানোর চেষ্টা করে ২জন। উদ্দেশ্য একটাই, দেবাশিসের বিশ্বাস অর্জন, বোঝানো ঝামেলা মিটে গেছে। কোনওরকমে দেবাশিসকে হেলিপ্যাডের ধারের ওই গর্তের কাছে নিয়ে যাওয়া। স্বরস্বতী পুজোর দিন ব্যর্থ হলেও হাল ছাড়েনি ২জন। সুযোগটা মিলে যায় বৃহস্পতিবার। রীতিমতো আটঘাঁট বেঁধে হেলিপ্যাড গ্রাউন্ডের মাঠে যায় তিনজন।

সেখানে রোল খেয়ে দেবাশিসকে নিয়ে যায় দীঘির পাড়ে। কারণ সেখানেই আগে থেকে খোঁড়া ছিল গর্ত। সেখানে বসেই তিনজন মদ খায়। দেবাশিস এতটুকু বোঝেনি, যে তাকে মারার জন্যই ওখানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।  কিছুক্ষণ পর ঠান্ডা মাথায়  দুজনের মধ্যে একজন দেবাশিসের মাথায় মদের বোতল দিয়ে আঘাত করে।  এক আঘাতেই কেল্লা ফতে।

আঘাতের তীব্রতায় ভেঙে যায় মদের বোতল। সেই কাচের আঘাত মিলেছে দেবাশিসের বাঁকাঁধ ও ঘাড়ে। দেবাশিস বেহুঁশ হতেই আরেক কিশোর তার গলায় পা তুলে দেয়। শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় দেবাশিসকে। তারপর গর্তে দেহ ফেলে মাটি দিয়ে বুজিয়ে দেয় দুজন।  দেবাশিসের সাইকেল ফেলে দেয় উল্টোদিকের ধানমাঠে।

অন্যদিনের মতো বৃহস্পতিবারও নির্দিষ্ট সময়েই বাড়ি ডোকে দুজনেই। এমনকি দেবাশিসের মা ও দিদির জেরার মুখেও এতটুকু ঘাবড়ায়নি দুই কিশোর।

সব ঠিকঠাক চলছিল। তদন্তের মোড় ঘুরিয়ে দিল সাইকেল। শনিবার বিকেলে দেবাশিসের সাইকেল উদ্ধার হতেই পরিবার নিশ্চিত হয়ে যায় খুনের পিছনে হাত রয়েছে দুই কিশোরেরই। দুজনকে আটক করে জেরা করতেই বেরিয়ে আসে আসল তথ্য। মাত্র ১৪ বছরের দুই কিশোরের এমন পরিকল্পনা চমকে দিয়েছে তদন্তকারীদেরও। প্রশ্ন উঠছে হেলিপ্যাড গ্রাউন্ডে লাগাতার পুলিসি পাহারার মধ্যে কিভাবে দেবাশিসকে খুন করল দুই বন্ধু। প্রশ্ন উঠছে পুলিসের ভূমিকা নিয়েও।

.