মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি ধারায় মামলা দায়ের নজরুল ইসলামের
এবার সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি ধারায় অভিযোগ দায়ের করলেন আইপিএস অফিসার নজরুল ইসলাম। মুখ্যমন্ত্রীর একসময়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এই আইপিএস অফিসার দীর্ঘদিন ধরেই কড়া ভাষায় তাঁর সমালোচনা করে চলেছেন। যে কারণে সরকারের তরফে তাঁর বিরুদ্ধে চার্জশিটও পেশ হয়েছে। আটকে গিয়েছে তাঁর পদোন্নতি। সে কারণেই এবার সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী, মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব ও ডিজির বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলায় উদ্যোগী এই আইপিএস অফিসার।রেলমন্ত্রী থাকাকালীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত কাছের আইপিএস অফিসার ছিলেন নজরুল ইসলাম। সময় গড়িয়েছে। রেলমন্ত্রকের পাঠ চুকিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে করে নিয়ে এসেছিলেন নজরুল ইসলামকেও। কিন্তু বছর ঘুরতে না ঘুরতেই মধুচন্দ্রিমায় ছেদ। প্রথম গণ্ডগোলের সূত্রপাত একটি বইলেখাকে কেন্দ্র করে।
এবার সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি ধারায় অভিযোগ দায়ের করলেন আইপিএস অফিসার নজরুল ইসলাম। মুখ্যমন্ত্রীর একসময়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এই আইপিএস অফিসার দীর্ঘদিন ধরেই কড়া ভাষায় তাঁর সমালোচনা করে চলেছেন। যে কারণে সরকারের তরফে তাঁর বিরুদ্ধে চার্জশিটও পেশ হয়েছে। আটকে গিয়েছে তাঁর পদোন্নতি। সে কারণেই এবার সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী, মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব ও ডিজির বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলায় উদ্যোগী এই আইপিএস অফিসার।রেলমন্ত্রী থাকাকালীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত কাছের আইপিএস অফিসার ছিলেন নজরুল ইসলাম। সময় গড়িয়েছে। রেলমন্ত্রকের পাঠ চুকিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে করে নিয়ে এসেছিলেন নজরুল ইসলামকেও। কিন্তু বছর ঘুরতে না ঘুরতেই মধুচন্দ্রিমায় ছেদ। প্রথম গণ্ডগোলের সূত্রপাত একটি বইলেখাকে কেন্দ্র করে।
সেই বিতর্কের রেশ মিটতে না মিটতেই জন্মদিনে মুখ্যমন্ত্রীর শুভেচ্ছার প্রত্যুত্তরে চিঠি পাঠিয়ে কার্যত বিষদগার করেন নজরুল ইসলাম। কীভাবে দিনের পর দিন অনৈতিক কাজ করছেন রেলমন্ত্রী। এমনকি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন রেসমন্ত্রকে যে বেআইনী আর্থিক লেনদেনও চলত তারও অভিযোগ করেছেন তিনি। ফলে সম্পর্কের চূড়ান্ত অবনতি ঘটে যায়। এবার পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করে রাজ্যও।
প্রথমে বইটির প্রকাশনা বন্ধের চেষ্টা করা হয়। তারপর মুখ্যমন্ত্রীর সম্মানহানী করা হয়েছে এবং ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করা হয়েছে এই অভিযোগে প্রথমবারের জন্য নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করা হয়।
মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিষদগার করা ওই চিঠির জন্য দ্বিতীয়বার তাঁর বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করা হয়।
পাল্টা মামলা শুরু করেন নজরুল ইসলাম। সেন্ট্রাল অ্যাডমিনিসস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনালে মামলা শুরু হয়। আটকে যায় পদন্নতি। সম্প্রতি সরকারকে চিঠি দিয়ে নজরুল ইসলাম অভিযোগ করেন, অনৈতিকভাবে তাঁর পদন্নোতি আটকে দেওয়া হয়েছে। এব্যাপারে যথাযোগ্য ব্যবস্থা না নিলে এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তাঁর চিঠির জবাব না পেলে ফৌজদারি মামলার হুঁশিয়ারি দেন।
নির্দিষ্ট সময়ে চিঠির জবাব না পাওয়ায় ফৌজদারি মামলার জন্য হেয়ার স্ট্রিট থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে বলে জানা গেছে। তাতে মুখ্যমন্ত্রী, মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, ডিজি এবং আরও দুই পদস্থকর্তার নাম রয়েছে।
সরকারের সঙ্গে আগেও বিরোধিতায় গিয়েছেন নজরুল ইসলাম। কিন্তু রাজ্যের একজন আইপিএস অফিসারের এভাবে সরাসরি প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের কার্যত নজিরবিহীন।