লেপচা পর্ষদের বিরোধিতায় ১২ ঘণ্টার বনধের ডাক মোর্চার
রাজ্য সরকারের সঙ্গে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সংঘাত ক্রমশ তীব্র হচ্ছে। আগামী শনিবার পাহাড়ে ১২ ঘণ্টার বনধ ডেকেছে মোর্চা। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের অভিযোগে এই বনধ বলে জানিয়েছেন মোর্চা নেতা বিনয় তামাং। মোর্চা সভাপতি বিমল গুরুং অবিলম্বে লেপচা উন্নয়ন পর্ষদ বাতিলের দাবি জানিয়েছেন। এ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকারকে চিঠি দিচ্ছেন তাঁরা।
রাজ্য সরকারের সঙ্গে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সংঘাত ক্রমশ তীব্র হচ্ছে। আগামী শনিবার পাহাড়ে ১২ ঘণ্টার বনধ ডেকেছে মোর্চা। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের অভিযোগে এই বনধ বলে জানিয়েছেন মোর্চা নেতা বিনয় তামাং। মোর্চা সভাপতি বিমল গুরুং অবিলম্বে লেপচা উন্নয়ন পর্ষদ বাতিলের দাবি জানিয়েছেন। এ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকারকে চিঠি দিচ্ছেন তাঁরা। দাবি না মানা হলে সুপ্রিম কোর্টে লেপচা উন্নয়ন পর্ষদ বাতিলের জন্য আবেদন করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
পাহাড়ে বনধ ঘোষণার পরই মহাকরণে জরুরি বৈঠকে বসে রাজ্য সরকার। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ডিজি, মুখ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্রসচিব। ছিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেবও।
পাহাড় সফরে গিয়ে লেপচাদের জন্য পৃথক সংস্থা গঠনের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার মায়েল লিয়াং লেপচা উন্নয়ন পর্ষদে অনুমোদন দেয় রাজ্য মন্ত্রিসভা। তবে মোর্চার দাবি, তাঁদের বিভাজনের লক্ষ্যেই এই সিদ্ধান্ত রাজ্যের। অন্যদিকে সিপিআইএম নেতা অশোক ভট্টাচার্য দাবি করেছেন, লেপচাদের উন্নয়ন সংক্রান্ত বিষয় দেখার দায়িত্ব জিটিএর। এক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের কোনও সিদ্ধান্ত চুক্তিবিরোধী বলে মনে করেন তিনি। মূলত দার্জিলিং জেলাকে কেন্দ্র করে কাজ করার সিদ্ধান্ত নেয় এই পর্ষদ। এর সদর দফতর হওয়ার কথা কালিম্পংয়ে। পর্ষদে একজন চেয়ারম্যান ও একজন ভাইস চেয়ারম্যান থাকবেন, যাঁরা দুজনেই লেপচা সম্প্রদায়ভুক্ত হবেন। একজন সরকারি আধিকারিক থাকবেন সদস্য সচিবের দায়িত্বে। এবং আরও এক সরকারি আধিকারিক থাকবেন সচিবের দায়িত্বে। লেপচা উন্নয়ন পর্ষদে থাকবেন কয়েকজন সদস্য।
পর্ষদের মূল উদ্দেশ্য লেপচাদের উন্নয়ন এবং তাঁদের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের বিকাশ। এবং ওই এলাকার বিভিন্ন ওষধিকে ব্যবহার করার জন্য তৈরি হবে মেডিক্যাল হাব।
লেপচা উন্নয়ন পর্ষদ জিটিএর অন্তর্ভূক্ত হবে না। থাকবে রাজ্যের অনগ্রসর দফতরের অধীনে। পর্ষদের কোনও রাজনৈতিক ক্ষমতা থাকবে না। জিটিএর অধীনে নয়, সেক্রেটারিয়েট অ্যাক্টের অধীনে স্বশাসিত সংস্থা হবে লেপচা উন্নয়ন পর্ষদ।
পর্ষদের আর্থিক ব্যয়ভার বহন করবে রাজ্য সরকারের অনগ্রসর শ্রেণি উন্নয়ন দফতর। তবে রাস্তাঘাট, স্কুল, হাসপাতাল প্রভৃতির উন্নয়নের খরচ বহন করবে সংশ্লিষ্ট দফতর।
এছাড়াও অনগ্রসর শ্রেণি উন্নয়ন দফতরের অধীনে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকাও পর্ষদের প্রকল্পে খরচ করা যাবে।
জিটিএ থেকে বেরিয়ে আসবেন বলে মঙ্গলবারই মন্তব্য করেছিলেন মোর্চা সুপ্রিমো বিমল গুরুং। এর ঠিক পরের দিনই স্বশাসিত লেপচা উন্নয়ন পর্ষদে সিলমোহর দিল রাজ্য সন্ত্রিসভা। রাজনৈতিক মহলের মতে, সংঘাতের আবহের মধ্যেই মোর্চাকে পাল্টা চাপে রাখতে এই কৌশলী পদক্ষেপ নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।