জোড়া ধর্ষণ, জোড়া শ্লীলতাহানি, জেরবার আইনশৃঙ্খলা
একই দিনে ২টি ধর্ষণ এবং ২টি শ্লীলতাহানির ঘটনায় রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন উঠে গেল। হাওড়া, মালদা, হুগলী এবং উত্তর চব্বিশ পরগণার এই ৪টি পৃথক ঘটনা ঘিরে সঙ্গত কারণেই ফের দানা বেঁধেছে রাজনৈতিক বিতর্ক।
একই দিনে ২টি ধর্ষণ এবং ২টি শ্লীলতাহানির ঘটনায় রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন উঠে গেল। হাওড়া, মালদা, হুগলী এবং উত্তর চব্বিশ পরগণার এই ৪টি পৃথক ঘটনা ঘিরে সঙ্গত কারণেই ফের দানা বেঁধেছে রাজনৈতিক বিতর্ক।
সোমবার এক মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলাকে গণ ধর্ষণের অভিযোগ উঠল হাওড়ার জগাছায়। ঘটনাটি ঘটেছে গত শুক্রবার। ওই মহিলাকে জগাছার কোনা এক্সপ্রেসে ঘুরতে দেখে পুলিস উদ্ধার করে। তাঁকে ডোমজুড়ের একটি হোমে রাখার ব্যবস্থা করে। এরপর খবর দেওয়া হয় ওই মহিলার বাড়িতে। পরে পরিবারের লোকজন পুলিসকে জানান, দুতিন জন যুবক তাঁকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। মেডিক্যাল পরীক্ষার পর তাঁকে রাখা হয়েছে হাওড়া জেনারেল হাসপাতালে। এ ঘটনায় জগাছা থানায় গণধর্ষণের মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযোগ উঠেছে বাপী দাস ও বাবলু সাহার নামে দুই যুবকের বিরুদ্ধে। অভিযোগকারিণীর দাবি, তিনি ওই দুই যুবককে চিনতে পারবেন।
ধর্ষণের দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটে মালদায়। সোমবার ভোররাতে বাড়ির বাইরে গিয়েছিলেন অভিযোগকারিণী। সেসময় এক ব্যক্তি তাকে তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। প্রায় তিন ঘণ্টা তাঁর ওপর অত্যাচার চালানো হয় বলে জানিয়েছেন ওই মহিলা। প্রথমে তিনি মঙ্গলবাড়ি পুলিস ফাঁড়িতে অভিযোগ জানাতে যান, কিন্তু পুলিস তাঁর অভিযোগ নেয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি। এরপর তিনি স্থানীয় কংগ্রেস বিধায়ক অর্জুন হালদারের কাছে অভিযোগ জানান। বিধায়কের হস্তক্ষেপে অভিযোগ নেয় মালদা থানা। ওই মহিলাকে মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। এই ঘটনায় এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি।
এরপর ঘটনাস্থল চন্দননগর। চতুর্থ শ্রেণীর পড়ুয়াকে গৃহশিক্ষিকার স্বামী শ্লীলতাহানি করার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। সেই সঙ্গে তাকে কাউকে কিছু না বলার জন্য ভয় দেখানো হয়। পরে ওই ছাত্রী বাড়ীতে সব কিছু জানানোয় বাড়ীর লোক থানায় আভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। এর আগে সোমবার সকালে প্রকাশ্য দিবালোকে শ্লীলতাহানির করা হয় উত্তর চব্বিশ পরগণার বারাসতে। কটূক্তি করার প্রতিবাদ করায় এক কিশোরীকে মারধোর করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটানার পর দীর্ঘক্ষণ কেটে গেলেও এখনও পর্যন্ত কারও নাগাল পায়নি পুলিস।