নতুন করে অশান্তির আশঙ্কায় ত্রস্ত জঙ্গলমহল
নয়া সরকারের আমলে এই প্রথম মাওবাদীদের ডাকা বনধ। আর শনিবার বনধের মাওবাদীদের ডাকা এই বন্ধকে জঙ্গলমহলে নতুন করে অশান্তির সূচনা বলে মনে করছে এলাকাবাসীর একটা বড় অংশ।
নয়া সরকারের আমলে এই প্রথম মাওবাদীদের ডাকা বনধ। আর শনিবার বনধের মাওবাদীদের ডাকা এই বন্ধকে জঙ্গলমহলে নতুন করে অশান্তির সূচনা বলে মনে করছে
এলাকাবাসীর একটা বড় অংশ। ফলে আশঙ্কার চোরাস্রোত বইতে শুরু করেছে এখন থেকেই।
ইতিমধ্যে শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া অস্ত্রসংবরণের সময়সীমা শেষ হয়েছে। শান্তিপ্রক্রিয়ার সুযোগে উভয়পক্ষের যে পরস্পরের বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে তাও স্পষ্ট।
গতকালই লোধাশুলি বাজারে এই বনধের সমর্থন পোস্টার দিয়েছে মাওবাদীরা। তাত্পর্যপূর্ণভাবে এই প্রথম সরাসরি তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের জন বিচ্ছিন্ন করারও ডাক দেওয়া হয়েছে এই মাওবাদী পোস্টারে। যথারীতি যৌথবাহিনীর অভিযানও চলছে। মাওবাদীরাও যে প্রস্তুতি নিচ্ছে তা স্পষ্ট হয়েছে প্রচুর পরিমাণে বিস্ফোরক ও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারে। মাওবাদীদের ডাকা এই বনধে কোনওরকম নাশকতা যাতে না ঘটে তার জন্য নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু ইতিমধ্যেই পরিষ্কার, গত সাড়ে চার মাস যৌথবাহিনীর সক্রিয়তা বন্ধ থাকায় সুযোগে অনেকটাই ঘর গুছিয়ে নিয়েছে মাওবাদীরা।