জঙ্গলমহলে ফের সক্রিয় মাওবাদীরা
আড়শা-বাগমুণ্ডির পর এবার পুরুলিয়ারই বলরামপুরের উরমাতে মিলল মাওবাদী পোস্টার। উরমা হাটে তৃণমূল পার্টি অফিসের কাছেই তিনটি মাওবাদী পোস্টার উদ্ধার করেছে পুলিস। পুলিস মনে করছে মাওবাদীদের একটি দল পুরুলিয়া ও ঝাড়গ্রামের জঙ্গলমহলে ফের সক্রিয় হয়েছে। গড়ে তুলেছে নতুন নেটওয়ার্ক।
ওয়েব ডেস্ক: আড়শা-বাগমুণ্ডির পর এবার পুরুলিয়ারই বলরামপুরের উরমাতে মিলল মাওবাদী পোস্টার। উরমা হাটে তৃণমূল পার্টি অফিসের কাছেই তিনটি মাওবাদী পোস্টার উদ্ধার করেছে পুলিস। পুলিস মনে করছে মাওবাদীদের একটি দল পুরুলিয়া ও ঝাড়গ্রামের জঙ্গলমহলে ফের সক্রিয় হয়েছে। গড়ে তুলেছে নতুন নেটওয়ার্ক।
শুক্রবার বেলপাহাড়িতে মাওবাদী পোস্টার মেলার পর, ঝাড়গ্রাম পুলিস জেলার ভারপ্রাপ্ত পুলিস সুপার ভারতী ঘোষের দাবি ছিল, মাওবাদী বলে কিছু নেই, কিছু বাজে লোক চাঁদা আদায়ের জন্য এসব করছে। শনিবার মাওবাদী পোস্টার মেলে পুরুলিয়ার আড়শা ও বাঘমুন্ডিতে। পুরুলিয়ার পুলিস সুপার নীলকান্ত সুধীর কুমার পোস্টারগুলি আদৌ মাওবাদীদের কী না তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন। ফের রবিবার মাওবাদীদের পোস্টার মিলল। এবার বলরামপুরে। রাজ্যের মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতর নির্বাচনী এলাকায়।
পোস্টার মিলল বড় উড়মায় তৃণমূল পার্টি অফিসের ১০০ মিটারের মধ্যে। সিপিআই মাওবাদীর দশম প্রতিষ্ঠাদিবস উপলক্ষে পিপলস লিবারেশন গেরিলা আর্মিকে পিপলস্ লিবারেশন আর্মিতে পরিণত করে সংগঠন বৃদ্ধির ডাক দেওয়া হয়েছে। নতুন করে মাওবাদী সংগঠনে ভর্তির ডাক দেওয়া হয়েছে পোস্টারে। এরপরেই অযোধ্যা পাহাড়ে নতুন করে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিস।
কিষেণজির মৃত্যু এবং বেশ কিছু মাওবাদী নেতার আত্মসমর্পণের পর রাজ্যে মাওবাদী কার্যকলাপ থমকে যায়। কিন্তু সম্প্রতি বেশ কিছু ঘটনায় পরিস্থিতি বদলের ইঙ্গিত মেলে। গত মঙ্গলবার বেলপাহাড়িতে ল্যান্ডমাইন সহ অস্ত্র উদ্ধার হয়। বেলপাহাড়ি থেকে পাঁচ-ছয় কিলোমিটার দূরে ঝাড়খণ্ডের চেকাম পাহাড়ের জঙ্গলে মাওবাদীদের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হন বিকাশ সূত্রধর নামে এক জওয়ান। গোয়েন্দা সূত্রের খবর নতুন করে নিজেদের সংগঠিত করছে মাওবাদীরা।
বেশ কিছুদিন চুপচাপ থাকার পর ধীরে ধীরে নিজেদের নেটওয়ার্ক তারা খানিকটা বাড়িয়েছে । অযোধ্যা পাহাড়ের দায়িত্বে থাকা বিক্রম ধরা পড়লেও পুলিসের নাগালে বাইরে অযোধ্যা এলাকায় গেরিলা বাহিনীর মূল মাথা রঞ্জিত্ পাল। এপর্যন্ত পাওয়া খবর, রঞ্জিত্ পালই সংগঠন বাড়ানোর মূল দায়িত্বে রয়েছেন। অন্যদিকে, আকাশ ওরফে অসীম মণ্ডলও ঝড়খণ্ড ও বাংলায় আসা যাওয়া করে সংগঠনকে চাঙ্গা করার চেষ্টা করছেন।