মাওবাদীদের বনধের  দ্বিতীয় দিন, জামবনিতে জনসভা তৃণমূল কংগ্রেসের

কিষেণজির মৃত্যুর প্রতিবাদে দেশজুড়ে ডাকা মাওবাদীদের বনধের  দ্বিতীয় দিনে রাজ্যের জঙ্গলমহল এলাকায় আংশিক প্রভাব পড়ল। বনধ ঘিরে সতর্ক রয়েছে প্রশাসন। আজ পশ্চিম মেদিনীপুরের জামবনির ভাতরে জনসভা রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের।

Updated By: Dec 5, 2011, 09:29 AM IST

কিষেণজির মৃত্যুর প্রতিবাদে দেশজুড়ে ডাকা মাওবাদীদের বনধের  দ্বিতীয় দিনে রাজ্যের জঙ্গলমহল এলাকায় আংশিক প্রভাব পড়ল। পশ্চিম মেদিনীপুরের ঝাড়গ্রাম, নয়াগ্রাম, গোপীবল্লভপুর, বাঁকুড়ার সারেঙ্গা, রানিবাঁধ, বারিকুল, পুরুলিয়ার বান্দোয়ান, বলরামপুর, বড়াবাজার, অযোধ্যা পাহাড় এবং ঝাড়খণ্ড লাগোয়া বেশ কিছু এলাকায় বনধের অনেকটাই প্রভাব লক্ষ্য করা গিয়েছে। তবে এই তিন জেলার অন্যান্য অংশে জনজীবন ছিল স্বাভাবিক। বনধ ঘিরে সতর্ক রয়েছে প্রশাসন। আজ পশ্চিম মেদিনীপুরের জামবনির ভাতরে জনসভা রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের।
শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে এই সভায় মুকুল রায়েরও থাকার কথা। কিষেণজীর মৃত্যুর প্রতিবাদে মাওবাদীদের ডাকা বনধের দ্বিতীয় দিনে এই সভাকে ঘিরে নিরাপত্তার কড়া ব্যবস্থা করেছে রাজ্য সরকার। এই সভাকে ঘিরে ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

তবে  কিষেণজির মৃত্যুর প্রতিবাদে ডাকা দুদিনের ভারত বনধের প্রথম দিনেই বিক্ষিপ্তভাবে বেশ কয়েক জায়গায় নাশকতা চালাল মাওবাদীরা। ঝাড়খণ্ড-বিহারের সীমানায় গয়া থেকে প্রায় সত্তর কিলোমিটার দূরে হাসপাতালের ভিতর কোবরা ক্যাম্পে হামলা চালায় মাওবাদীরা। বাংলা ঝাড়খণ্ড সীমানার টিলভিটা স্টেশনের প্যানেল বোর্ডে আগুন ধরিয়ে দেয়। ধানবাদ শাখার মাতারি ও গোমোর মাঝখানে রেলওয়ে ট্র্যাক উড়িয়ে দিয়েছে মাওবাদীরা। ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে সুপারফাস্ট ট্রেনের যাত্রাপথ। ঝাড়খণ্ডের দুমকায় কেন্দুয়া অরণ্যের কাছে আইইডি বিস্ফোরণ ঘটায়।
বোকারোর গোমিয়া এবং ডুমরির মাঝে আইইডি বিস্ফোরণ ঘটিয়ে রেললাইন উড়িয়ে দেয়। লাতেহার জেলার হেহেগারা এবং ছিপোদোহার স্টেশনের মাঝেও রেললাইনে বিস্ফোরণ ঘটায় মাওবাদীরা। ওড়িশার মালকানগিরিতে মাওবাদী হামলায় একটি স্কুলবাড়ি ধ্বংস হয়।

.