জেলা প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়
জেলা সফরে বেরিয়ে বৃহস্পতিবার দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আলিপুরে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল পরিচালিত দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলা পরিষদের সভাধিপতি শামিমা বিবিও।
জেলা সফরে বেরিয়ে বৃহস্পতিবার দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আলিপুরে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল পরিচালিত দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলা পরিষদের সভাধিপতি শামিমা বিবিও। তবে এর আগে মুখ্যমন্ত্রীর পশ্চিম মেদিনীপুর ও উত্তর চব্বিশ পরগনা সফরে আমন্ত্রণ পাননি বাম পরিচালিত জেলা পরিষদের সভাধিপতিরা। আজ শামিমা বিবি বৈঠকে আমন্ত্রণ পাওয়ায় ফের প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিভাজনের রাজনীতির অভিযোগ উঠেছে। পুজোরে পর থেকেই জেলাসফর শুরু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জেলাসফরে গিয়ে একাধিক প্রকল্পের কথাও ঘোষণা করছেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর এই জেলা সফরকে ঘিরেই আমরা-ওরা, এই বিভাজনের রাজনীতির অভিযোগ উঠেছে। এর আগে মুখ্যমন্ত্রীর পশ্চিম মেদিনীপুরে সফরে ডাকা হয়নি বামফ্রন্ট পরিচালিত জেলা পরিষদের সভাধিপতি অন্তরা ভট্টাচার্যকে। উত্তর চব্বিশ পরগণা সফরের সময় আমন্ত্রণ জানানো হয়নি বামফ্রন্টের জেলা পরিষদের সভাধিপতি ভরত দাসকে। অথচ তৃণমূল পরিচালিত সভাধিপতিদের ক্ষেত্রে কিন্তু ভিন্ন অবস্থান নিয়েছে প্রশাসন। তাঁদের আমন্ত্রণ করা হচ্ছে। জেলার উন্নয়ন নিয়ে আলোচনায় সামিল করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার দক্ষিণ চব্বিশ পরগণায় মুখ্যমন্ত্রীর সফরে যেমন উপস্থিত ছিলেন শামিমা বিবি। বিরোধী নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরব ছিলেন আমরা-ওরার বিরুদ্ধে। আর এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধেই উঠে আসছে বিভাজনের রাজনীতির অভিযোগ। বাম পরিচালিত জেলাপরিষদের সভাধিপতিদের বাদ রেখেই মুখ্যমন্ত্রী বারবার উন্নয়ন আলোচনা চালিয়ে য়াচ্ছেন। এই ঘটনা বামেদেরও রাজনৈতিকভাবে সুবিধা করে দিচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু প্রশাসনিক দিক দিয়ে দেখলে, জেলাপরিষদের হাতেই কোনও বরাদ্দ প্রথম আসে। তারপর তা বন্টন করা হয় পঞ্চায়েতগুলিতে। কাজেই জেলাপরিষদের সভাধিপতিকে বাদ দিয়ে উন্নয়ন বৈঠকের যৌক্তিকতা কী, প্রশ্ন উঠছে তা নিয়েও। বৃহস্পতিবার দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা সফরে আলিপুর পুলিস লাইনের কনফারেন্স রুমে বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে ছিলেন বারোজন মন্ত্রী, একজন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী, ডিএম, এডিএম, বিডিও, এসডিও, পুলিস কর্তা এবং জেলাসভাধিপতি। সাগরদীপে তীর্থকর মকুব, সাগরদীপ এবং সুন্দরবনকে নিয়ে আফ্রিকান সাফারির ধাঁচে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা, বাঘাযতীন হাসপাতাল সহ অন্য হাসপাতালে চিকিত্সক ও নার্সের খালি পদ পূরণ, বাংলাদেশ-ভূটান-দক্ষিণ চব্বিশ পরগণাকে নিয়ে গভীর সমুদ্র বন্দর তৈরি, জেলায় সাতহাজার পুকুর সংস্কারের মতো প্রকল্প ও কর্মসূচি ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। সাগরদীপে কিছুদিনের মধ্যেই বিদ্যুত্ পৌঁছে যাবে বলে তিনি জানান।