রাতভর অভিযান জঙ্গলমহলে, উদ্ধার জিলেটিন স্টিক
রাতভর অভিযান চালাল যৌথবাহিনী। একদিকে শান্তি প্রক্রিয়া, অন্যদিকে দুপক্ষই যে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে তা ক্রমশ স্পষ্ট হচ্ছে। এমনই এক অভিযানে উদ্ধার হল সাঁইতিরিশটি জিলেটিন স্টিক।
রাতভর অভিযান চালাল যৌথবাহিনী। একদিকে শান্তি প্রক্রিয়া, অন্যদিকে দুপক্ষই যে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে তা ক্রমশ স্পষ্ট হচ্ছে। এমনই এক অভিযানে উদ্ধার হল সাঁইতিরিশটি জিলেটিন স্টিক। পশ্চিম মেদিনীপুরের গোয়ালতোড়ের বুড়িশোলের জঙ্গলে ওই জিলেটিন স্টিকগুলি পাওয়া যায়।
বুধবার বিকেল থেকেই জঙ্গলমহলের বিভিন্ন এলাকায় জোরদার অভিযানে নামে যৌথবাহিনী। একদিকে ঝাড়গ্রাম লাগোয়া লোধাশুলির পাশাপাশি কলাবনি ও শিরষির জঙ্গলে তল্লাসি চালায় যৌথবাহিনী। অভিযান চলে ওড়িশাগামী ছ-নম্বর জাতীয় সড়কের দু-পাশে মোহনপুর ও নেকড়াবিধার জঙ্গলেও। অন্যদিকে লালগড়ের অন্যপ্রান্তে গোয়ালতোড়, শালবনি, কাঁটাপাহাড়ি এলাকাতেও অভিযান চলে। বৃহস্পতিবার ভোরে গোয়ালতোড়ের বুড়িশোলের জঙ্গলে দুটি গাছের মাঝে সিআরপিএফের জওয়ানরা প্রথমে দুটি জিলেটিন স্টিক দেখতে পায়। এরপর স্নিফার ডগ নিয়ে এসে জঙ্গলজুড়ে তল্লাসি শুরু করে জওয়ানরা। তখনই পঁয়ত্রিশটি জিলেটিন স্টিকের একটি প্যাকেট উদ্ধার হয়। এরপরও ঘণ্টা চারেক ধরে তল্লাসি অভিযান চলে। সংলগ্ন গ্রামের বাসিন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। বেশ কিছুদিন ধরেই ওই এলাকায় মাওবাদীদের একটি দল ঘাঁটি গেড়ে ছিল। বড় কোনও নাশকতা ঘটানোর ছক ছিল বলে মনে করা হচ্ছে। অর্থাত প্রস্তুতি নিচ্ছিল মাওবাদীরাও। অন্যদিকে, কৌশল বদলে জোরকদমে অভিযান শুরু করে দিয়েছে যৌথবাহিনীও। আগে, সন্ধের পর অভিযান বন্ধ রাখা হলেও এখন অত্যাধুনিক সরঞ্জামের সাহায্যে রাতভর অভিযান চলছে। একইসঙ্গে একাধিক জায়গায় চলছে অভিযান। নির্দিষ্ট খবরের ভিত্তিতে এলাকা ঘিরে ফেলছে কোবরা ও কাউন্টার ইনসার্জেন্সি ফোর্সের জওয়ানরা। মাওবাদীদের সম্ভাব্য পালানোর জায়গায় থাকছে সিআরপিএফ। একদিকে শান্তি প্রক্রিয়া অন্যদিকে দুপক্ষই কার্যত যুদ্ধের প্রস্তুতি চালাচ্ছে।