মুখ্যমন্ত্রীর যুক্তিতে মাওবাদীরা ঘাঁটি গেড়েছে কামদুনিতে
কামদুনিতে মাওবাদীরা রয়েছে। নিশ্চিত মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার উত্তর ২৪ পরগনায় চাঁদপাড়ার জনসভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "কামদুনিতে মাওবাদীরা রয়েছে। যদি ওখানে আমি না যেতাম, পুলিস জানতে পারত না। পুলিসকে বলেছি বিষয়টি দেখতে।" এমনকী সে দিন কামদুনির গ্রামবাসীদের বিক্ষোভ চক্রান্ত করেই করা হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কামদুনিতে মাওবাদীরা রয়েছে। নিশ্চিত মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার উত্তর ২৪ পরগনায় চাঁদপাড়ার জনসভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "কামদুনিতে মাওবাদীরা রয়েছে। যদি ওখানে আমি না যেতাম, পুলিস জানতে পারত না। পুলিসকে বলেছি বিষয়টি দেখতে।" এমনকী সে দিন কামদুনির গ্রামবাসীদের বিক্ষোভ চক্রান্ত করেই করা হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
`চক্রান্ত` তত্ত্বের পাশাপাশি সংবাদমাধ্যমকেও দুষতে ছাড়েননি মুখ্যমন্ত্রী। সংবাদমাধ্যম মিথ্যা প্রচার করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। কিন্তু সে দিন কামদুনিতে ঝটিকা সফরে গিয়ে, মুখ্যমন্ত্রী কীভাবে আঁচ পেলেন ওখানে মাওবাদীরা রয়েছে? রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের যুক্তি, "মাতঙ্গিনী মাওবাদীদের সিস্টার সংগঠন। তারাই ঢুকেছিল গ্রামে।" সোমবার গ্রামের মহিলাদের সহজ প্রশ্নের জবাব না থাকায়, তাঁদেরকে `সিপিআইএম` চিহ্নিত করাই শ্রেয় মনে করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আর আজকের সভামঞ্চেও নিজের অবস্থান থেকে সরে আসতে দেখা গেল না মুখ্যমন্ত্রীকে। এ দিনও তিনি বললেন, "ওখানে সিপিআইএমও ছিল।"
মুখ্যমন্ত্রীর সফরের পর দিন ২৪ ঘণ্টা ক্যামেরায় ধরা পড়েছিল থমথমে কামদুনিতে তৃণমূলেরই রাজ। ক্যামেরার সামনে সে কথা স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন গ্রামের মানুষরাই। রাস্তার মোড়ে মোড়ে লাগানো দলীয় পতাকাও সেই কথাই জানান দিচ্ছিল। তবে আপাত শান্ত গ্রামে সিপিআইএম আর মাওবাদীরা কীভাবে ঢুকল? মুখ্যমন্ত্রীর জবাব, "জামাইষষ্টির নাম করে গ্রামে ঢুকেছিল ওরা।"