নতুন মহাকরণ নবান্নে জল দিতে পারবেন না মমতা
হাওড়ায় নতুন মহাকরণ নবান্নে জল দিতে পারবেন না মমতা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন, হাওড়া পুরসভার মেয়র মমতা জয়সওয়াল। মেয়র জানিয়ে দিয়েছেন, নতুন মহাকরণে চাহিদা মত জল দেওয়া সম্ভব নয় হাওড়া পুরসভার পক্ষে। প্রশাসনের চাহিদামতো জল দিলে জলসঙ্কটে ভুগবে পুরসভা। সাতটি ওয়ার্ডে দেখা দেবে তীব্র জলসঙ্কট ।
হাওড়ায় নতুন মহাকরণ নবান্নে জল দিতে পারবেন না মমতা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন, হাওড়া পুরসভার মেয়র মমতা জয়সওয়াল। মেয়র জানিয়ে দিয়েছেন, নতুন মহাকরণে চাহিদা মত জল দেওয়া সম্ভব নয় হাওড়া পুরসভার পক্ষে। প্রশাসনের চাহিদামতো জল দিলে জলসঙ্কটে ভুগবে পুরসভা। সাতটি ওয়ার্ডে দেখা দেবে তীব্র জলসঙ্কট ।
হাওড়ার এইসআরসি ভবনে মহাকরণ সরছে পাঁচই অক্টোবর। দিনক্ষণ ঘোষণা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এরমধ্যে একটা কিন্তু রয়ে যাচ্ছে। আর সেই কিন্তুর সূত্রধর আরেক মমতা। মমতা জয়সওয়াল হাওড়া পুরসভার মেয়র। নতুন মহাকরণ নবান্নের প্রয়োজনীয় জলের রাশ তাঁর হাতে। নতুন মহাকরণে পর্যাপ্ত জল সরবরাহের জন্য হাওড়া পুরসভাকে চিঠি লিখেছে প্রশাসন। পুরসভা জানিয়ে দিয়েছে, তাদের পক্ষে জল দেওয়া সম্ভব নয়।
পুরসভা জানিয়েছে যে পরিমান জল চাওয়া হচ্ছে। সেই পরিমান জল দেওয়া সম্ভব নয়। ওই পরিমাণ জল দিলে দক্ষিণ হাওড়া ও শিবপুরেরর সাতটি ওয়ার্ডে তীব্র জল সঙ্কট দেখা দেবে। পুরসভার যুক্তি, হাওড়া পুর এলাকায় দৈনিক সত্তর লক্ষ গ্যালন জল প্রয়োজন। কিন্তু দৈনিক উতপাদন হয় মাত্র ৫০ লক্ষ গ্যালন। অর্থা চাহিদা ও যোগানে কুড়ি লক্ষ গ্যালনের ফারাক রয়েছে। তার ওপর রয়েছে জল চুরি ও নষ্ট হওয়ার সমস্যা। এই অবস্থায় নতুন মহাকরণের জন্য দৈনিক দুই লক্ষ গ্যালন জল চাওয়া হয়েছে পুরসভার কাছে।
জলের অনটনের কথা অজানা নয় রাজ্য সরকারের। ডিপটিউবওয়েল বসিয়ে প্রয়োজনের কিছুটা পূরণ করার চেষ্টা চলছে। পুরসভা বলছে, নতুন মহাকরণ নিজস্ব ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট বসাক। জলের এই অনটনে জল রাজনীতির ছায়া দেখতে পাচ্ছেন অনেকে।