বীরভূম নিয়ে উদ্বেগ বুঝিয়ে মুখ্যমন্ত্রী সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামের তুলনা টানলেন

পাড়ুইয়ের সন্ত্রাস নিয়ে অনুব্রতর বহিরাগত তত্ত্বেই সিলমোহর দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। নাম না করে আঙুল তুললেন বিজেপির দিকেই। লাগাতার সন্ত্রাস না থামাতে পারায় ধমকালেন পুলিসকর্তাদের। সব মিলে বীরভূম নিয়ে কতটা উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী তা বুঝিয়ে দিলেন সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামের তুলনা টেনে।

Updated By: Jul 7, 2015, 08:30 PM IST

ওয়েব ডেস্ক: পাড়ুইয়ের সন্ত্রাস নিয়ে অনুব্রতর বহিরাগত তত্ত্বেই সিলমোহর দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। নাম না করে আঙুল তুললেন বিজেপির দিকেই। লাগাতার সন্ত্রাস না থামাতে পারায় ধমকালেন পুলিসকর্তাদের। সব মিলে বীরভূম নিয়ে কতটা উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী তা বুঝিয়ে দিলেন সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামের তুলনা টেনে।

এক বছর ধরে উত্তপ্ত পাড়ুই। বোমা-গুলি-মাস্কেট। গ্রামদখলের সংঘর্ষে তৃণমূল-বিজেপি। বহিরাগতদের তাণ্ডব।

সেই সন্ত্রাস নিয়ে জানতেই বীরভূমে গিয়ে অনুব্রত মণ্ডল সহ তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী। তৃণমূল সূত্রে খবর, পাড়ুই, সাত্তোরে কেন সন্ত্রাস বন্ধ করা যাচ্ছে না তা নিয়ে খোঁজ খবর নেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীকে তৃণমূল নেতারা জানিয়েছেন, বিজেপির বহিরাগতরা এলাকা দখলের জন্য বারবার গ্রামে ঢুকে সন্ত্রাস করছে। কীভাবে সন্ত্রাস বন্ধ করা যায় তা দেখার দায়িত্ব জেলার নেতাদের ওপরই ছেড়ে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

মঙ্গলবার বোলপুরে প্রশাসনিক বৈঠক সেরেই প্রথম পাড়ুইয়ের সন্ত্রাস নিয়ে মুখ খোলেন মুখ্যমন্ত্রী। উঠে আসে কেষ্ট মণ্ডলদের দেওয়া বহিরাগত তত্ত্ব।

পাড়ুয়ের সংঘর্ষে যে বিজেপি কর্মীরাও জড়িত তা কিছুদিন আগে স্বীকার করেছেন রাহুল সিনহাও। নাম না করলেও মুখ্যমন্ত্রীর নিশানায় এবার সেই বিজেপি। বিরক্ত পুলিসের কাজেও। প্রকাশ্যে দাঁড়িয়েই সন্ত্রাস বন্ধের নির্দেশ দেন ডিজিকে।

ডিজি জানিয়েছেন, আমি সব রকম চেষ্টা করছি।

কিন্তু কারা এই বহিরাগত? শুধুই কী বিজেপি? দায় নেই তৃণমূলের? তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিতে পারবে পুলিস?

মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পর কী প্রতিক্রিয়া বিজেপি নেতাদের।

সিঙ্গুর নন্দীগ্রাম ছিল বিরোধী নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আন্দোলনের হাতিয়ার। পারুইকে যে বিজেপি রাজ্য জুড়ে তেমনই বড় ইস্যু করতে চাইছে তা বিলক্ষণ বোঝেন মুখ্যমন্ত্রী। আর সেই কারণেই অনুব্রত মণ্ডলদের বার্তা, পাড়ুইয়ে সন্ত্রাস হোক চান না তিনি।

কিন্তু সত্যি কী বন্ধ হবে সন্ত্রাস?

 

.