উন্নয়নের বার্তা দিয়ে মাওবাদীদের হুঁশিয়ারি মুখ্যমন্ত্রীর

পরিবর্তনের জমানার প্রথম পনের মাসে জঙ্গলমহলে উন্নয়নের কাজ কতটা এগিয়েছে তা জানতে ও জানাতে বেলপাহাড়িতে জনতার মুখোমুখি হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ঝাড়গ্রাম মহকুমার এই প্রত্যন্ত ব্লক সদরে মুখ্যমন্ত্রীর সভা পর্যবসিত হল সেই প্রতিশ্রুতি আর হুঁশিয়ারির পুনরাবৃত্তিতেই!

Updated By: Aug 8, 2012, 07:11 PM IST

পরিবর্তনের জমানার প্রথম পনের মাসে জঙ্গলমহলে উন্নয়নের কাজ কতটা এগিয়েছে তা জানতে ও জানাতে বেলপাহাড়িতে জনতার মুখোমুখি হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ঝাড়গ্রাম মহকুমার এই প্রত্যন্ত ব্লক সদরে মুখ্যমন্ত্রীর সভা পর্যবসিত হল সেই প্রতিশ্রুতি আর হুঁশিয়ারির পুনরাবৃত্তিতেই!
চলতি বছরের এপ্রিল মাসে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর প্রথম লালগড় সফরে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা বলেছিলেন, এদিন বেলপাহাড়িতেও শোনা গিয়েছে তাঁর প্রতিধ্বনী। জঙ্গলমহলে উন্নয়নে তাঁর সরকারের `সাফল্যের` কথা তুলে ধরার পাশাপাশি যুবসমাজের জন্য কর্মসংস্থানের বিষয়টিতে বিশেষ জোরক দিয়েছেন তিনি। পশ্চিম মেদিনীপুরের যুবসমাজকে মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা, `পুলিসে আরও চাকরি হবে। এখানকার ছেলেমেয়েরাই চাকরি পাবে।` আরও ৫ হাজার হোমগার্ড এবং আই সি ডি এস নেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছেন তিনি।
জঙ্গলমহলের উন্নয়নে তাঁর সরকারের ভূমিকার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, `নয়াগ্রাম, শালবনি, লালগড়ে কলেজ হচ্ছে, নতুন হাসপাতাল হচ্ছে, ৩৩১টি কিষাণ বাজার হবে`। আগামী ২ বছরে প্রতিটি ব্লকে আইটিআই, পানীয় জলের প্রকল্প গড়ারও অঙ্গীকার করেন মুখ্যমন্ত্রী।`
এদিন বেলপাহাড়ির মঞ্চ থেকে মাওবাদীদের কড়া হুঁশিয়ারি দেন মমতা। তাঁর সাফ কথা `যারা কাপুরুষ, তারাই বন্দুক নিয়ে খুন করে। মাওবাদীরা শান্তি চায় না, ওরা ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড থেকে আসছে আর শান্তি নষ্ট করতে চাইছে।` জঙ্গলমহলের শান্তি ও সুস্থিতি নষ্ট করলে তাঁর সরকার কড়া ব্যবস্থা নেবে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী।

এলাকার মানুষের কাছে মুখ্যমন্ত্রীর আহ্বান, `শান্তি এলে উন্নয়ন হবে, উন্নয়ন হলেই কর্মসংস্থান হবে, পর্যটন কেন্দ্র তৈরি হবে, মাওবাদীদের ভয় পাবেন না।` মাওবাদী হানায় নিহতদের পরিবারের প্রতি একজনকে রাজ্য সরকার চাকরি দেবে বলে জানিয়ে জঙ্গলমহলের মানুষের কাছে মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শ, গ্রামে গ্রামে শান্তিরক্ষী বাহিনী গড়ুন। যাঁরা শান্তিরক্ষী বাহিনীতে থাকবেন তাঁদের চাকরির অগ্রাধিকার দেওয়া হবে`।
বুধবার বেলপাহাড়ির মঞ্চ থেকে মাওবাদীদের হিংসার পথ পরিহার করার আহ্বানও জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, `মাওবাদীরা সামাজিক পথে ফিরুন, ফিরলে সবরকম সাহায্য করব,বন্দুক নিয়ে ভয় দেখাবেন না`। তাঁর সরকার ইতিমধ্যেই আত্মসমর্পণকারী কয়েকজন মাওবাদীর পুনর্বাসন ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী। আগামী পঞ্চায়েত ভোটের দিকে লক্ষ্য রেখেই এদিন বেলপাহাড়ির সভায় মুখ্যমন্ত্রী সচেতনভাবে বারে বারে মাওবাদীদের আত্মসমর্পণের কথা বলেছেন বলেই রাজনৈতিক মহলের ধারণা।

.