কীভাবে গ্রেফতার মালখান সিং?
অবশেষে পুলিসের জালে কেএলও নেতা মালখান সিং। ভোটের আগেই মালদা থেকে গ্রেফতার করা হল কেএলওর শীর্ষ নেতাকে। মোবাইলের সূত্র ধরে গতকাল গভীর রাতে হবিবপুরের জঙ্গলে অভিযান চালায় পুলিস। ধৃতের চোদ্দদিনের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
অবশেষে পুলিসের জালে কেএলও নেতা মালখান সিং। ভোটের আগেই মালদা থেকে গ্রেফতার করা হল কেএলওর শীর্ষ নেতাকে। মোবাইলের সূত্র ধরে গতকাল গভীর রাতে হবিবপুরের জঙ্গলে অভিযান চালায় পুলিস। ধৃতের চোদ্দদিনের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
এর আগে তিন তিন বার নাগালের মধ্যে পেয়েও হাতছাড়া হয়েছিল কেএলও শীর্ষ নেতা মালখান সিং। একাধিক মোবাইলের সিম ব্যবহার করায় মালখান সিংয়ের নাগাল মিলছিল না। কয়েকদিন আগে গ্রেফতার হয় মালখান সিংয়ের ডান হাত নবানু বর্মন এবং কুমুদ মণ্ডল। ধৃতদের জেরা করে মালখান সিং কোনদিন কোন মোবাইল নম্বর ব্যবহার করেন তার হদিশ পায় পুলিস।
শনিবার মালখানের মোবাইলের সূত্র ধরে গভীর রাতে যৌথ অভিযান চালায় মালদার হবিবপুর ও বামনগোলা থানার পুলিস।
শনিবার হবিবপুরের মঙ্গলপুরার একটি গ্রামে গানের আসর বসেছিল। সেখানে মালখানের মোবাইলের টাওয়ারের সন্ধান পায় পুলিস। ছদ্মবেশে ঘটনাস্থলে পৌছে যায় তারা। এবারও পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। ঢুকে পড়েন পাশের জঙ্গলে।
তবে এবার আর শেষরক্ষা হয়নি। পুলিস সূত্রে জানা গেছে, মালখান সিংয়ের ডান হাঁটুতে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। একত্রিশে মার্চ মালদার গাজোলে থেকে পালানোর সময়ে পায়ে আঘাত পান মালখান।
টম অধিকারীর গ্রেফতারির পর এতদিন উত্তরবঙ্গে সক্রিয় ছিলেন কেএলওর শীর্ষ নেতা মালখান সিং। জামিনে ছাড়া পেয়ে একসময় তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু কিছু দিন পর ফের যুক্ত হয়ে ফের কেএলওর কাজে যোগ দেন। ভোটের আগে কেএলও শীর্ষনেতার গ্রেফতার প্রশাসনের কাছে স্বস্তি বলে মনে করা হচ্ছে।