ধর্ষণের ঘটনায় ফের কাঠগড়ায় পুলিস
অভিযুক্ত ধর্ষণকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে আরও একবার কাঠগড়ায় রাজ্য পুলিস। মালদহের চাঁচোল থানা এলাকায় এক কাঠমিস্ত্রির স্ত্রীকে দিনের পর দিন ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে চাঁচোলের বিট অফিসার জয়ন্ত মুরারির বিরুদ্ধে।
অভিযুক্ত ধর্ষণকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে আরও একবার কাঠগড়ায় রাজ্য পুলিস। মালদহের চাঁচোল থানা এলাকায় এক কাঠমিস্ত্রির স্ত্রীকে দিনের পর দিন ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে চাঁচোলের বিট অফিসার জয়ন্ত মুরারির বিরুদ্ধে।
চাঁচোল থানার ওসি থেকে শুরু করে জেলার পুলিস সুপার, একাধিকবার সবার কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন তাঁরা। ১৮ জানুয়ারি আভিযোগ দায়ের করেন ধর্ষিতা। কিন্তু কোনও সুবিচার পাননি তিনি। পরে ২৪ জানুয়ারি এস পি`র দ্বারস্থ হন মহিলা। শেষ পর্যন্ত আদালতের শরনাপন্ন হন তিনি। আদালত জয়ন্ত মুরারিকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেয়। কিন্তু আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও নিষ্ক্রিয় পুলিস প্রশাসন। আদালতের নির্দেশ পর ২৮ দিন কেটে গেলও অধরা ধর্ষণে অভিযুক্ত। প্রকাশ্যেই ঘুরছেন জয়ন্ত মুরারি। এখনও সরকারি কর্মচারি হিসেবে কাজ করছেন তিনি।
এই ঘটনা সম্পর্কে রাজ্য মহিলা কমিশনের প্রধান সুনন্দা মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, "উদ্বেগজনক ঘটনা। এস পি`র কাছে জানতে চাইব কোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও কেন গ্রেফতার করা হয়নি অভিযুক্তকে। কোর্টের অর্ডার অমান্য করার অধিকার কারোর নেই। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাকে বরখাস্ত করা হবে। আমরা মহিলার পাশে আছি।"
অভিনেতা বাদশা মৈত্র জানিয়েছেন, "নিষ্ক্রিয়তা নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা, দিনের পর দিন এমনটা ঘটছে। দোষীদের কোনও শাস্তি হচ্ছে না, প্রশাসনের সদিচ্ছার অভাব। এমন ঘটনা আরও বাড়বে। মানুষের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে।"
সাহিত্যিক সুচিত্রা ভট্টাচার্য জানান, "নিগৃহীত মহিলার অপমান হচ্ছে। এ এক সামাজিক ব্যাধি। অভিযোগ নিতে থানায় মহিলা অফিসার দরকার।"