পঞ্চায়েত ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসে মালদার বৈষ্ণবনগরে খুন হয়েছেন একই পরিবারের দুই সদস্য

Updated By: Feb 26, 2016, 09:07 PM IST
পঞ্চায়েত ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসে মালদার বৈষ্ণবনগরে খুন হয়েছেন একই পরিবারের দুই সদস্য

ওয়েব ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসে, মালদার বৈষ্ণবনগরে  খুন হয়েছেন একই পরিবারের দুই সদস্য। যাদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তারাই এখন তৃণমূলের হোমরাচোমড়া। তাই দুষ্কৃতীদের ধরা তো দূরের কথা বরং মামলা তুলে নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে পুলিস । দুই সন্তান হারানো বৃদ্ধ পিতা  পুলিসের ওপর আস্থা হারিয়ে এবার আদালতের দ্বারস্থ। দুহাজার তেরোর পঞ্চায়েত নির্বাচনে বৈষ্ণবনগর থানার লক্ষ্মীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূলের টিকিটে প্রার্থী হয়েছিলেন জয়দেব হালদার। জয়দেব তৃণমূলের প্রার্থী হওয়ায় ভোট কাটাকাটিতে সিপিএমের হাত থেকে আসনটি চলে যায় কংগ্রেসের দখলে।

এরপরেই জয়দেবের দাদা স্বপন হালদার খুন হন, অভিযোগ সিপিএম নেতা সুনীল হালদারের নেতৃত্বে কুপিয়ে খুন করা হয় স্বপন হালদারকে। এই ঘটনার সাতদিন পর খুন হন জয়দেব হালদারের আরেক দাদা সনাতন হালদার। অভিযুক্ত সেই সিপিএম নেতা সুনীল হালদার। অভিযোগ দায়ের হয় বৈষ্ণনগর থানায়। পুলিস কয়েকজনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতার হন সুনীল হালদার। অভিযোগ, এরই মধ্যে গোপনে জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে আঁতাত করে ফেলেন সুনীল হালদার। এরপর কোর্টে মামলা উঠলে পুলিস চার্জসিট জমা না দেওয়ায় জামিনে মুক্ত হয়ে যান সুনীল দুহাজার চোদ্দর লোকসভা নির্বাচনের পর বৈষ্ণবনগর এলাকার বাসিন্দা মোয়াজ্জেম হোসেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি হন। মোয়াজ্জেম হোসেনের হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দেন এলাকার সিপিএম নেতা সুনীল । এরপরেই শুরু খুনের মামলা তুলে নেওয়ার হুমকি।বিষয়টি দলীয় নেতৃত্বকে জানানো হয়। কিন্তু গোটা ঘটনায় সম্পূর্ণ নিশ্চুপ তৃণমূল জেলা নেতৃত্ব।

থানায় বারবার জানানো সত্তেও কোনরকম ব্যবস্থা নিচ্ছে না পুলিস। দুই সন্তান হারানো বৃদ্ধ পিতা এবার আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছেন। যাদের বিরুদ্ধে সারাজীবন লড়াই, যাদের জন্য দুই সন্তানকে হারাতে হয়েছে, দলের কাছে সেই দুষ্কৃতীরাই এখন চোখের মনি। জয়দেব হালদারের পরিবার---ভাবছে, তাহলে কী এতদিন তাঁরা যা করেছেন--সব ভুল করেছেন।

.