কী ঘটল মাকড়ায় ৪ ঘণ্টায়? টাইমলাইন
যখন খাগড়াগড় বিস্ফোরণস্থল ঘুরে দেখছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা, ঠিক তখনই মাত্র পঞ্চাশ কিলোমিটার দূরে, বীরভূমের মাকড়া গ্রামে নির্বিচারে তাণ্ডব চালালো মাস্কেট বাহিনী।
বেলা এগারোটা থেকে বিকেল তিনটে। চারঘণ্টায় অপারেশন শেষ। মাস্কেটবাহিনীর গুলির শিকার ৩ জন। আহত আরও অনেকে। চারঘণ্টায় ঠিক কী ঘটল মাকড়ায়? চৌমণ্ডলপুরে আক্রান্ত কর্মী সমর্থকদের বাড়ি যাওয়ার কথা ছিল বিজেপি প্রতিনিধি দলের। গোলমালের আশঙ্কায় পাশের গ্রাম মাকড়াতেও ছিল পুলিসের নজরদারি ।
অ্যাডিশনাল এসপি আনন্দ রায় ও বোলপুরের SDPO-র নেতৃত্বে মাকড়ায় ঢুকল পুলিস।
সকাল ১০.৩০
পুলিসের সামনে বোমাবাজি করতে করতে গ্রামে ঢুকল প্রায় শখানেক বহিরাগত। বেশিরভাগের হাতেই ছিল মাস্কেট। পরিস্থিতি ঘোরালো দেখে গ্রাম থেকে বেরিয়ে যায় পুলিস। গ্রামের বাইরের মোড়ে গাছতলায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় কমব্যাট ফোর্স ও পুলিসকে।
বেলা ১১টা
মাকড়া জুড়ে শুরু ব্যাপক বোমাবাজি, লুঠতরাজ। আতঙ্কে গ্রাম ছাড়তে শুরু করেন মানুষ।
বেলা ১২.৩০
বাড়িতে আগুন
দুপুর ১.৩০ মিনিট
রুখে দাঁড়ালেন এলাকার মানুষ। ফের শুরু হয় বোমাবাজি।আধঘণ্টা ধরে চলল গুলিবৃষ্টি।
দুপুর ১.৪৫
খালপাড়ে গুলি লাগল তৌসিফের গায়ে। তড়িঘড়ি তাকে সিউড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হল।গ্রামের আরেকপ্রান্তে তখন বোমার আঘাতে লুটিয়ে পড়েছেন সুলেমান সেখ। আলপথ ধরে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হল সিউড়ি হাসপাতালে।বোমা গুলির রসদ ফুরিয়ে আসায় এসময়ই পিছু হটতে শুরু করে মাস্কেটবাহিনী।
বিকেল ৩.১৫
মাস্কেট বাহিনী গ্রাম ছাড়ার প্রায় দেড়ঘণ্টা পর অ্যাডিশনাল এসপির নেতৃত্বে গ্রামে ঢুকল বিশাল পুলিস বাহিনী। আহত এনামুল শেখ ও মোজাম্মেল শেখকে বাড়িথেকে উদ্ধার করা হল। জখমদের পুলিস ভ্যানে করে পাঠনো হল সিউড়ি হাসপাতলে।
বিকেল ৪.৩০
গোলমাল থিতিয়ে আসার অনেক পর এলাকায় এলেন পুলিস সুপার আলোক রাজোরিয়া। গ্রামবাসীদের প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়তে হল তাঁকে। বেগতিক বুঝে তড়িঘড়ি এলাকা ছাড়লেন বীরভূমের SP।