ছত্রধরের মুক্তির দাবিতে রাজ্য জুড়ে বন্ধের ডাক মাওবাদীদের, জঙ্গলমহলে হারানো জমি ফিরে পাওয়ার মরিয়া চেষ্টা

রাজ্য জুড়ে আজ বন্ধের ডাক দিল মাওবাদীরা। ছত্রধর মাহাত সহ রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্তির দাবি জানিয়ে এই বনধ। দুহাজার এগারো সালে শীর্ষ মাওবাদী নেতা কিষেনজির মৃত্যুর পর এই প্রথম এরাজ্যে বনধ ডাকল মাওবাদীরা। তাদের সঙ্গে সুর মিলিয়ে আজই বন্ধের ডাক দিয়েছে পুলিস সন্ত্রাস বিরোধী জনগনের কমিটিও। পুরুলিয়ার বলরামপুর ও আড়সা এলাকায় পোস্টার দিয়ে বন্ধের কথা জানিয়েছে দুই সংগঠনই। তবে কি ফের জঙ্গল মহালে সক্রিয় হয়ে উঠছে মাও গেরিলারা?

Updated By: May 25, 2015, 01:20 PM IST
ছত্রধরের মুক্তির দাবিতে রাজ্য জুড়ে বন্ধের ডাক মাওবাদীদের, জঙ্গলমহলে হারানো জমি ফিরে পাওয়ার মরিয়া চেষ্টা

ব্যুরো: রাজ্য জুড়ে আজ বন্ধের ডাক দিল মাওবাদীরা। ছত্রধর মাহাত সহ রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্তির দাবি জানিয়ে এই বনধ। দুহাজার এগারো সালে শীর্ষ মাওবাদী নেতা কিষেনজির মৃত্যুর পর এই প্রথম এরাজ্যে বনধ ডাকল মাওবাদীরা। তাদের সঙ্গে সুর মিলিয়ে আজই বন্ধের ডাক দিয়েছে পুলিস সন্ত্রাস বিরোধী জনগনের কমিটিও। পুরুলিয়ার বলরামপুর ও আড়সা এলাকায় পোস্টার দিয়ে বন্ধের কথা জানিয়েছে দুই সংগঠনই। তবে কি ফের জঙ্গল মহালে সক্রিয় হয়ে উঠছে মাও গেরিলারা?

ফের ছত্রধরই ভরসা। ছত্রধর মাহাতকে সামনে রেখে জঙ্গল মহলে সংগঠন গড়ে তুলেছিল মাওবাদীরা। আবার সেই জেলবন্দী ছত্রধরের যাবজ্জীবন সাজাকে হাতিয়ার করেই জঙ্গলমহলের হারানো জমি ফিরে পেতে মরিয়া গেরিলারা। কিষেনজির মৃত্যুর পর  দীর্ঘদিন মাও বাহিনীর কোনও অস্তিত্ব ছিল না এ রাজ্যে। রাজ্যের পাহাড়-জঙ্গলে ঘেরা সীমান্তবর্তী এলাকায় ইতিউতি গোপনে আনাগোনা থাকলেও,প্রকাশ্যে আসার সাহস দেখায়নি দলছুট মাওবাদীরা। কিন্তু গত এক সপ্তাহে শালবনীতে পোস্টারের পর পুরুলিয়াতে বন্ধের ডাক। সক্রিয় হবার যথেষ্ট ইঙ্গিত রয়েছে। বিষয়টি হালকা ভাবে নিতে নারাজ গোয়েন্দারা।  

কিন্তু এবার নেতৃত্বে কে? লালগড় আন্দোলন সংগঠিত হয়েছিল কিষেনজীর নেতৃত্বে। সেই সময়ের থেকে এখন এরাজ্যের রাজনৈতিক সমীকরন অনেক বেশি বিপদজ্জনক মাওবাদীদের পক্ষে। সেখানে দলের কোনও শীর্ষ নেতাকে পাঠানোর ঝুঁকি কি আদৌ নেবে মাওবাদীরা? কিন্তু সম্প্রতি ভেঙে যাওয়া নিস্ক্রিয় রাজ্য কমিটিকে ফের পুনর্গঠন করেছে মাওবাদীরা। এরাজ্যে দলের সব শীর্ষ নেতারাই জেলে। তবে কার উদ্যোগে এই পুনর্গঠন? গোয়েন্দাদের দাবি এর পেছনে আছে কোনও বড় নেতা। কে সে?  

বিবেক নামে এক বড় মাপের নেতা ইদানিং যাতায়াত করছে জঙ্গলমহলে। খালি পুরুলিয়া নয়, ঝাড়খন্ড লাগোয়া বেলপাহাড়ির প্রত্যন্ত এলাকাতেও নাকি সম্প্রতি সে বৈঠক করেছে। কে এই বিবেকদা, তা নিয়ে সংশয়ে গোয়েন্দারা।

মাল্লাঝুল্লা ভেনুগোপাল রাও ওরফে বিবেক। মাওবাদী পলিটবুরো সদস্য। কিষেনজীর ভাই, অন্ধ্রপ্রদেশের করিমনগরের বাসিন্দা।

বিবেক চেন্দেরি যাদব ওরফে বিবেকদা ওরফে সীতারাম। মাওবাদী কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। ঝাড়খন্ডের বাসিন্দা, মাথার দাম ১ কোটি ২ লক্ষ টাকা।

পুনর্গঠিত মাওবাদী রাজ্য কমিটির সম্পাদকের দায়িত্বে ফের অসীম মন্ডল।

এই মুহুর্তে এ রাজ্যে আদও কি হারানো জমি ফিরে পাওয়া সম্ভব মাওবাদীদের পক্ষে?  এ রাজ্যে তাদের যা সাংগঠনিক অবস্থা তা কিন্তু ফিরে আসার তত্ত্বকে সমর্থন করে না।

 

.