টানা বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত চাষবাস, মাথায় হাত কৃষকদের

টানা বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত চাষবাস। মাঠের ফসল নষ্ট হয়েছে মাঠেই। চরম ক্ষতির মুখে কৃষকেরা। পশ্চিম মেদিনীপুরে নষ্ট হয়েছে প্রায় ৫০ হাজার হেক্টর জমির ফসল। ক্ষতির মুখে বর্ধমানের আউশ ধানের চাষ। একই অবস্থায় হুগলি ও বাঁকুড়া জেলাতেও।  এবারে আর নবান্ন পালন হবে না জঙ্গলমহলে। প্রবল বৃষ্টিতে ঝাড়গ্রাম মহকুমার আটটি ব্লকের মধ্যে ছটি ব্লকের অবস্থা খুবই খারাপ।

Updated By: Oct 27, 2013, 09:06 AM IST

টানা বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত চাষবাস। মাঠের ফসল নষ্ট হয়েছে মাঠেই। চরম ক্ষতির মুখে কৃষকেরা। পশ্চিম মেদিনীপুরে নষ্ট হয়েছে প্রায় ৫০ হাজার হেক্টর জমির ফসল। ক্ষতির মুখে বর্ধমানের আউশ ধানের চাষ। একই অবস্থায় হুগলি ও বাঁকুড়া জেলাতেও।  এবারে আর নবান্ন পালন হবে না জঙ্গলমহলে। প্রবল বৃষ্টিতে ঝাড়গ্রাম মহকুমার আটটি ব্লকের মধ্যে ছটি ব্লকের অবস্থা খুবই খারাপ।
জলমগ্ন প্রায় সমস্ত কৃষিজমিই। পুজোর মধ্যেই বন্যা। বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে মুখ্যমন্ত্রী নিজে ছুটে এসেছিলেন। ঘোষণাও করেছিলেন ক্ষতিপূরণের। কিন্তু ক্ষতির মাত্রা যে লাগামছাড়া। তাই তা নিয়ে খুব একটা উচ্চবাচ্য করছেন না আধিকারিকরা। ইতিমধ্যেই পশ্চিম মেদিনীপুরের ২৩টি ব্লকের প্রায় ৫০ হাজার হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত। টাকার হিসেবে ক্ষতি প্রায় ২৮৫ কোটি।
সরকারি তরফে জানানো হয়েছে, কৃষকদের কিট দেওয়া হবে, সঙ্গে ১০ কেজি সার। কিন্তু তা বাদেও চাষের বিপুল খরচ আসবে কোথা থেকে । এর উত্তর জানা নেই ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের। বাস্তবের ক্ষতির সঙ্গে সরকারি হিসেবের বিস্তর অমিল রয়েছে। অভিযোগ ক্ষতিগ্রস্তদের।
 
বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত শস্যগোলা বর্ধমানের আউশ ধান। ধান পেকে যাওয়ায় তা কাটা শুরু করেছেন কৃষকেরা। কিন্তু দুদিনের বৃষ্টিতে মাঠেই ভাসছে কাটা ধান। অঙ্কুর বেরিয়ে গেছে কাটা ধানে। বিঘা প্রতি চাষের খরচ তুলতে এখন নাভিশ্বাস উঠছে কৃষকদের।
 
বাঁকুড়া জেলার প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষই কৃষিজীবি। ফসল বলতে আমন ধান। কোথাও কোথাও চাষ হয় সব্জিরও। চলতি বছরের শুরুতে বৃষ্টি ভালো হওয়ায় আমন ধানের ফলন ভালো হয়েছিল। কিন্তু অক্টোবরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে লাগাতার বৃষ্টিতে অভিকাংশ জমির ধানই নষ্ট হয়ে যেতে বসেছে। রোদ্দুরের আশায় গ্রামেগঞ্জে শুরু হয়েছে সূর্যদেবের পুজো।

.