এক পাতার নোটিসে অনিশ্চিয়তার মুখে ভিক্টোরিয়া জুট মিলের সাড়ে ৫ হাজার শ্রমিক

একপাতার নোটিস অনিশ্চয়তার মুখে ঠেলে দিল সাড়ে পাঁচ হাজার মিল শ্রমিককে।

Updated By: Nov 8, 2014, 09:39 PM IST
এক পাতার নোটিসে অনিশ্চিয়তার মুখে ভিক্টোরিয়া জুট মিলের সাড়ে ৫ হাজার শ্রমিক

ব্যুরো: একপাতার নোটিস অনিশ্চয়তার মুখে ঠেলে দিল সাড়ে পাঁচ হাজার মিল শ্রমিককে।

তালা পড়ল ভিক্টোরিয়া জুট মিলের গেটে। বন্ধ করে দেওয়া হল শ্রমিক কলোনির জল, আলো। মিল আবার খুলবে তো?কলোনির শ্রমিক কলোনিতে এখন এটাই সবথেকে বড় প্রশ্ন। ছটপুজো শেষ হয়েছে সবেমাত্র। এখনও প্যান্ডেল খোলা হয়নি শ্রমিক বস্তিতে। এরই মধ্যে সত্যি সত্যিই যেন মাথায় ভেঙে পড়ল আকাশ।  

শনিবার কাজে যোগ দিতে যাওয়ার পরই ভিক্টোরিয়া জুটমিলের শ্রমিকরা জানতে পারেন বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে একটি ইউনিট। প্রায় দেড় হাজার শ্রমিকের চাকরি অনিশ্চিত হওয়ার পথে। তৈরি হয় ক্ষোভ। মারপিট, ভাঙচুর। তারপর থেকেই ভিক্টোরিয়া জুট মিলের গেটে তালা। মিলের পাশেই শ্রমিক কলোনি। দু হাজারেরও বেশি ঘর। থাকেন প্রায় সাড়ে চার হাজারেরও বেশি শ্রমিক পরিবার সহ। পায়রার খোপের মতন ঘর। বাবা ছেলের এক দিনে ছুটি হলে কাউকে রাত কাটাতে হয় দাওয়ার খাটিয়ায়। দিন আনি দিন খাই অবস্থা। বেতন কত? কারুর মাস গেলে পাঁচ হাজার কারুর বা আরো কম।  কী করবেন এখন? কীভাবে চলবে সংসার? ঘরের ছেলেদের কী আর স্কুলে পাঠানো যাবে? অসুস্থ স্ত্রীর ওষুধ কেনার আর একটাও পয়সা নেই। দুপুরের পর থেকে এই প্রশ্নগুলোই ঘুরে বাড়াচ্ছে কলোনির ঘরে ঘরে।

উঠোন ধুলো করে খেলে বেড়াচ্ছে বাচ্চাগুলো। আর কতটা বিপদে ওরা, এখনও হয়তো জানে না। কিন্তু নিয়মের যে কিছু একটা পরিবর্তন হয়েছে বুঝতে পারছে ওরাও। বাবা কাকাদের সারাক্ষণ দাওয়ায় মাথায় হাত দিয়ে বসে থাকতে দেখে। কবে খুলবে মিল? ভিক্টোরিয়ার সামনে দাঁড়িয়ে পাল্টা প্রশ্ন শ্রমিকদের। উত্তর কেউ জানে না।

 

.