পুরভোটে পেশি শক্তির ব্যবহারের অভিযোগে সরব বিরোধীরা

রবিবারের পুরভোটে শাসক দলের বিরুদ্ধে পেশি শক্তির ব্যবহারের অভিযোগে সরব হল বিরোধীরা। বিক্ষিপ্ত অশান্তির ছবিও ধরা পড়ল সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরায়। যদিও প্রশাসনকে ব্যবহার করে সন্ত্রাসের যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন শাসক দলের নেতারা।

Updated By: Jun 3, 2012, 07:45 PM IST

অশান্তির আশঙ্কা আগেই ছিল। বার বারই সেই আশঙ্কার কথা রাজ্যের প্রশাসন এবং নির্বাচন কমিশনকে জানানো হয়েছিল বামফ্রন্টের তরফে। রবিবার পুরভোটে বিক্ষিপ্ত অশান্তির ঘটনায় সেই আশঙ্কাই সত্যি প্রমাণিত হল। নির্বাচনের মানুষকে স্বতস্ফূর্ত ভোটদানে বাধা দেওয়ার অভিযোগ  তুললেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। 
তিনি বলেন, "ভোটের নিয়ম কানুন ভঙ্গ করে ভোটদানের প্রক্রিয়ায় জনগনকে বাধা দেওয়া হয়েছে।" বুথ থেকে পোলিং এজেন্টদের সরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ করেন তিনি।
শুধু বামেরাই নয়, ভোটের আগে থেকেই সন্ত্রাস হুমকির শিকার হচ্ছিল কংগ্রেসও। এনিয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং নির্বাচন কমিশনারের কাছে লিখিত অভিযোগও জানিয়েছিল শাসক দলের জোট শরিক। রবিবারের অশান্তির পর পুরভোট যে অবাধ হয়নি, তা সাফ জানিয়ে দিয়েছে প্রদেশ কংগ্রেসও।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেন গতবারের বিধানসভা নির্বাচন এত বড় হওয়া সত্ত্বেও কারো বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তোলা যায়নি। সেটা এবার হল না কেন সে প্রশ্ন তোলেন তিনি।
প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে সরব হয়েছে বিজেপিও। তাদের অভিযোগ, যোগাযোগ করা সত্ত্বেও সময়মতো প্রশাসনের কাছ থেকে সাহায্য পাওয়া যায়নি।
প্রশাসনের বিরুদ্ধে এই সব অভিযোগ উঠলেও তা মানতে নারাজ শাসক দলের নেতারা।
গত বিধানসভায় রাজ্যে পালা বদলের পর এটাই সেই অর্থে বড় ভোট ছিল। অবাধে ভোট করার চ্যালেঞ্জ ছিল প্রশাসনের সামনে।
রাজ্যে সরকার বদলের আগে ততকালীন বাম সরকারের বিরুদ্ধে পেশিশক্তি প্রয়োগের অভিযোগ তুলেছে সে সময়ের বিরোধী দল তৃণমূল কংগ্রেস। অথচ সরকারে আসার পর সেই তৃণমূলের বিরুদ্ধেই একই অভিযোগ তুললেন, বাম, বিজেপি, কংগ্রেস নেতারা। 

.