ধ্বংসের অভিঘাতে এখন পাহাড় জুড়ে শুধুই ধসের তাণ্ডব

ধসে বিপর্যস্ত পাহাড়। ধ্বংসের অভিঘাত সামলে ওঠার আগেই নতুন করে ধসের তাণ্ডব। রাস্তা ভেঙে প্রায় সব দিক দিয়েই বিচ্ছিন্ন মিরিক। অবরুদ্ধ জাতীয় সড়কের বিভিন্ন জায়গা। তার জেরে বিপর্যস্ত যোগাযোগ।

Updated By: Jul 2, 2015, 10:03 PM IST
ধ্বংসের অভিঘাতে এখন পাহাড় জুড়ে শুধুই ধসের তাণ্ডব

ব্যুরো: ধসে বিপর্যস্ত পাহাড়। ধ্বংসের অভিঘাত সামলে ওঠার আগেই নতুন করে ধসের তাণ্ডব। রাস্তা ভেঙে প্রায় সব দিক দিয়েই বিচ্ছিন্ন মিরিক। অবরুদ্ধ জাতীয় সড়কের বিভিন্ন জায়গা। তার জেরে বিপর্যস্ত যোগাযোগ।

সঙ্কটে পাহাড়বাসী। নাজেহাল পর্যটকরা। উদ্ধারে নেমে হিমসিম প্রশাসন। পাহাড় জুড়ে এখন শুধুই ধ্বংসের প্রলাপ।

প্রকৃতির রুদ্ররোষ বদলে দিয়েছে সব কিছু। মারণরাতের  তাণ্ডবের ক্ষত এখনও দগদগে। তার মধ্যেই নতুন করে ধস মিরিকের কাছে গয়াবাড়িতে। (গ্রাফিক্স ম্যাপ)

পথের গতিপথ এভাবেই থমকে দিয়েছে প্রকৃতির রুদ্রলীলা। একমাত্র দার্জিলিং ছাড়া, আর কোনও রাস্তা দিয়েই মিরিক পৌছনো যাচ্ছে না।

নতুন করে ধসে আটকে পড়েন পর্যটকরা।

NJP থেকে গ্যাংটক যাওয়ার দশ নম্বর জাতীয় সড়ক। শ্বেতিঝোরায় প্রায় পাঁচ ছদিন ধরে ধস পড়ে জাতীয় সড়কের ওপর।

কার্সিয়ংয়ের কাছে পঞ্চান্ন নম্বর জাতীয় সড়কের একাংশ ধসে অবরুদ্ধ।

শিমুলবাড়ির কাছে রক্তিঝোরায় ব্রিজ ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন।

যেদিকে চোখ যায়, সেদিকেই ধ্বংসের ছাপ। মিরিকের লিম্বুঝোড়া, টিংলিংয়ে উদ্ধারকাজের জন্য সকালেই রওনা হন NDRF এর কর্মীরা। রাস্তা বন্ধ থাকায় পৌছতে দেরি হয়ে যায় তাঁদের। বৃহস্পতিবার লিম্বুঝোরা থেকে আরও একজনের দেহ উদ্ধার হয়।  

বেলা বারোটা নাগাদ কালিম্পংয়ে পৌছন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিরেণ রিজিজু।

গরুবাথান থেকে লাভা-লোলেগাঁও যাওয়ার রাস্তা বন্ধ। কালিম্পংয়ের নিম বস্তি, মণ্ডল গাঁও, শেপ্রা গাঁও, লক্ষ্মীগোলাই সহ বিভিন্ন জায়গা এখন ধসের কবলে। ৪৬টি গ্রামের ১৮ হাজার মানুষ কার্যত সব কিছু থেকে বিচ্ছিন্ন।
 

.